৩ ঘণ্টায় ২৮ বসত-বাড়ি নিয়ে গেল যমুনা
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2018/09/chowhal-nodi-vangon-20180928182307.jpg)
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2025/02/475351977_1256003665483861_2959209934144112011_n.jpg)
যমুনা নদীতে পানি কমতে শুরু করায় ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা শহর রক্ষা বাঁধের দক্ষিণে ২৮টি বসত-বাড়ি ভেঙে নদীতে চলে গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পশ্চিম জোতপাড়া এলাকায় এ ভাঙন হয়েছে। এছাড়া প্রায় সাড়ে ৪শ মিটার এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙনরোধে পাউবোকে বারবার বলা হলেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় পশ্চিম জোতপাড়া এলাকাটি বিধ্বস্ত হলো। এ কারণে হুমকির মুখে পড়েছে শতকোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ, কে. কে পশ্চিম জোতপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জনতা উচ্চ বিদ্যালয়।
চৌহালী উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম ও কে. কে পশ্চিম জোতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম আলম জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ করে চৌহালী শহর রক্ষা বাঁধের দক্ষিণ থেকে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪শ মিটার এলাকায় শুরু হয় তীব্র নদী ভাঙন। মুহূর্তের মধ্যে পশ্চিম জোতপড়া গ্রামের আবুল কাশেম মন্ডল, আব্দুর রহমান মোল্লা, মজিবর রহমান, ঠান্ডু মন্ডল, আব্দুল কাইয়ুম, লুৎফর রহমান, আকবার আলী ও আব্দুল মতিন মন্ডলসহ ওই গ্রামের অন্তত ২৮টি বসতভিটা ও ঘর-বাড়ি নদীতে দেবে যায়। এসব বাড়ি ঘরের অধিকাংশ আসবাবপত্র, ৪টি ফ্রিজ ও গবাদি পশুসহ প্রয়োজনীয় মালামাল নদী গর্ভে চলে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে।
তবে এখনও নদী ভাঙন কবলিত এলাকায় পাউবো কর্মকর্তাদের দেখা যায়নি ও ক্ষতিগ্রস্তরা পায়নি কোনো ত্রাণ সহায়তা এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু হানিফ মোল্লা।
তবে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আনিছুর রহমানকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন