৪৩ তম বিসিএস থেকে বাদ পড়ার কারন খুঁজে পান না মঠবাড়িয়ার রোকনুজ্জামান

৪৩ তম বিসিএসে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বিবেচনায় সাময়িকভাবে নিয়োগ থেকে বাদ পড়েছেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার রোকনুজ্জামান। তবে বাদ পড়ার কারন আজও খুঁজে পাননি তিনি।

কৃষক পরিবারে বেড়ে ওঠা অদম্য মেধাবী রোকনুজ্জামান মঠবাড়িয়া উপজেলার শাখাড়িকাঠি গ্রামের মুহা. মোশারেফ হোসাইনের পুত্র। সত্তোর্ধ বাবা চোখে কম দেখেন।আর বৃদ্ধ মা এখনও কিছুটা সংসার সামলানোর চেষ্টা করেন। একমাত্র বড় ভাই ইব্রাহীম খলিল ২০১৮ সালে মারা যান। পারিবারের হাল ধরতেই ২০২০ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন তিনি।

এরপর বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ক্যাডারের সাধারণ শিক্ষায় প্রভাষক (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে গেজেটভুক্ত হন তিনি।২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ প্রজ্ঞাপনে রোকনুজ্জামানের ক্রমিক নম্বর ছিল ৩৮ এবং মেধাক্রম ছিল ৪৪। কিন্তু ৩০ ডিসেম্বরের সংশোধিত প্রজ্ঞাপন থেকে বাদ পড়েন তিনি।

মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল কাইয়ূম জানান, রোকনুজ্জামান নামে একজন স্কুল শিক্ষক ৪৩ তম বিসিএসে চান্স পেয়েছে বলে জানি। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে যাচাই বাছাই হওয়া এবং বাদ পড়ার বিষয়টি অবগত ছিলাম না।

এ ব্যাপারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মানসুর হোসেন জানান, সুপারিশকৃত ২১৬৩ জনের মধ্যে ২২৭ জন বাদ পড়েছে। বাদ পড়াদের মধ্য থেকে পুনর্বিবেচনার জন্য যারা আবেদন করছে তাদের আবেদন গ্রহন করা হচ্ছে।