৪ ঘণ্টায় অপারেটর বদল করলো ১৭ জন
সোমবার সকাল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে পছন্দমতো অপারেটর বদল সেবা (এমএনপি)। প্রথম দিন সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ১৭ জন গ্রাহক এই সেবা নিয়ে অপারেটর বদলের আবেদন করেছেন।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রমনায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান জহুরুল হক।
তিনি বলেন, সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ১৭ জন গ্রাহক এই সেবা গ্রহণের মাধ্যমে অপারেটর পরিবর্তন করেছেন। আজ থেকে এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো। এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, সোমবার সকাল থেকে এক অপারেটরের নম্বরে অন্য অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার সেবা চালু হলো। গ্রাহক যে অপারেটর সেবা পছন্দ করবেন, বিনা দ্বিধায় সেই অপারেটর বদল করতে পারবেন। এ জন্য নিজের ফোন নম্বর পাল্টাতে হবে না। এ সেবা প্রবর্তনের ফলে মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে গুণগত সেবা প্রদানের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।
অপারেটর বদলে ভ্যাটসহ গ্রাহকের ফি দাঁড়াচ্ছে ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা। এ ছাড়া সিম পরিবর্তনের ওপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১০০ টাকা কর আছে। সব মিলিয়ে গ্রাহকের ফি দাঁড়াচ্ছে ১৫৮ টাকা। তবে অবশ্য দ্রুত (২৪ ঘণ্টার মধ্যে) এমএনপি সেবা নিতে ১০০ টাকা বাড়তি দিতে হবে গ্রাহককে। এর ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আছে।
অপারেটর বদলের ফি কমানোর বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি পরিবর্তনের জন্য গ্রাহককে এখন যে টাকা দিতে হচ্ছে, তার হার ধীরে ধীরে কমানো হবে। লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান লাভ বেশি করলে এই টাকার হার আরও কমিয়ে দেয়া হবে।’
নিয়ম অনুযায়ী আবেদনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নতুন অপারেটরের সিম বদল হওয়ার কথা। একবার অপারেটর বদলালে গ্রাহককে নতুন অপারেটরে ৯০ দিন থাকতে হবে।
এমএনপি সেবা নিতে হলে গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোনের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যেতে হবে। এমএনপি সেবায় গ্রাহকদের সহযোগিতা দিতে টিকিটিং পদ্ধতির হেল্পডেস্ক চালু করেছে বিটিআরসি। এছাড়া ওয়েবসাইটের (www.infotelebd.com) মাধ্যমেও প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যাবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন