৫৬ জন নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে এই পুলিশ কর্মকর্তা
রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলের এক পুলিশ কর্মকর্তা একজন নয়, দুজন নয়; ৫৬ নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। একটি কুড়াল ও হাতুড়ি দিয়ে এই হত্যাযজ্ঞ চালান ওই ঠাণ্ডা মাথার খুনি।
মিখাইল পপকভ নামে ৫৩ বছর বয়সী ওই পুলিশ কর্মকর্তা ১৯৯২ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি ৫৫ জন নারী ও একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
একের পর এক নারীকে খুনের কারণ হিসেবে এ সিরিয়াল কিলারের বক্তব্য হচ্ছে-সাইবেরিয়ার আঙ্কারাস্ক শহরকে দুশ্চরিত্র নারীদের কবল থেকে ‘পবিত্র’ করার অভিযানে নেমেছিলেন তিনি।
রাশিয়ায় বিগত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষকে হত্যা করা ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে দ্বিতীয় দফায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
২০১৫ সালে ২২ জনকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয় পপকভকে। তবে পরে প্রকাশিত হয়, তিনি অন্তত ৫৬ জনকে হত্যা করেছেন।
গভীর রাতে নারীদের গাড়িতে করে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে তাদের হত্যা করতেন পপকভ। তার হাতে নিহত নারীদের বয়স ছিল ১৫-৪০ বছরের মধ্যে। অনেক সময় তিনি পুলিশের গাড়ি ব্যবহার করেন।
এদের মধ্যে অন্তত ১০ নারীকে হত্যার আগে তিনি ধর্ষণ করেন। ২০১২ সালে একটি ডিএনএ পরীক্ষার পর পুলিশ তার গাড়ি শনাক্ত করতে সক্ষম হলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সাইবেরিয়ার ইর্কুত্স্ক এলাকার কাছে আঙ্কারাস্ক শহরের আশপাশে নারীদের হত্যার পর তাদের খণ্ডবিখণ্ড দেহ জঙ্গলে, রাস্তার পাশে বা স্থানীয় একটি সমাধিস্থলে ফেলে দিতেন তিনি।
কয়েকটি দেহের আশপাশে পপকভের ‘নিভা’ গাড়ির চাকার দাগ পাওয়া যায়। তদন্তকারীরা আশপাশের এলাকার সব নিভা গাড়ির মালিকের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করলে ধরা পড়েন পপকভ।
ধরা পড়ার পর প্রথমবার একপর্যায়ে ২০টি খুনের বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেন পপকভ। তার হাতে খুন হওয়া সবচেয়ে কমবয়সী নারীর বয়স ছিল ১৫ বছর।
তার বিরুদ্ধে ২২ জনের মৃত্যুর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেন ইর্কুত্স্কের একটি আদালত। তবে অন্য হত্যাকাণ্ডগুলোর তদন্তও শুরু হয়ে যাওয়ায় কারাগারে না পাঠিয়ে কুখ্যাত এ খুনিকে পুলিশের হেফাজতেই রাখা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন