৫ লাখ টাকায় ঢাবির প্রশ্ন সমাধান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নের সমাধান দেয়া চক্রের ২ জন মাস্টারমাইন্ড ও এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশের অপরাদ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, অভিযুক্ত দুইজন ২ থেকে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে একটি বিশেষ কমিউনিকেশনস ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নের সমাধান দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
এর আগে শুক্রবার পরীক্ষা চলাকালীন ঢাবি প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের গ্রেফতার করে সিআইডি। অভিযানে ঢাবির একুশে হল থেকে আবদুল্লাহ আল মামুন এবং শহিদুল্লাহ হল থেকে মহিউদ্দিন রানাকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে মামুন ঢাবির অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি বিভাগের বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আর রানা ঢাবিতে ফিজিক্সে মাস্টার্স করছেন।
দুইজনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষাকেন্দ্র ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল থেকে অসদুপায় অবলম্বনকারী ইশরাক আহমেদ রাফীকে আটক করা হয়।
সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-মিডিয়া) শারমিন জাহান জানান, শিক্ষার্থীরা আধুনিক ও অতি ক্ষুদ্র একটি কমিউনিকেশনস ডিভাইস (মাস্টার কার্ড সদৃশ) ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রশ্নের উত্তর বলে দিত। শিক্ষার্থীরা মাস্টার কার্ড সদৃশ ওই ডিভাইস মানিব্যাগে রেখে কানে হেডফোন দিয়ে এপারের সঙ্গে যোগাযোগ করতো। পরীক্ষার্থীরা প্রশ্ন পেয়ে সেট নম্বর বললেই ওপার থেকে উত্তর বলে দিত আটককৃতরা।
এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই চক্রের সদস্যরা অভিনব এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন কোচিং সেন্টার এবং ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে ঢাবি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ (জাবি) অন্যান্য ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করে টাকা হাতিয়ে নিত।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে সিআইডি। এছাড়াও চক্রের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে তারা।
এই ৩ জন ছাড়াও জালিয়াতি ও অসদুপায় অবলম্বনের কারণে আরও ১২ পরীক্ষার্থীকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দেয়া হয়। এছাড়াও ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসেরও অভিযোগ উঠেছে এবছর।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন