৫ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার ‘স্মার্ট’ বাজেট ঘোষণা

সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের এই স্লোগানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য বাজেট ঘোষণা করেছেন।
২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের মোট আকার দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। অনুদানসহ বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে আসবে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এনবিআর বহিভূত কর খাত থেকে আসবে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কর ব্যতিত প্রাপ্তি হবে ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। বৈদেশিক অনুদান থেকে আসবে ৪ হাজার ১শ’ ৬৮ কোটি টাকা।
মোট ব্যয়ের মধ্যে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ দিতে হবে ৫২ হাজার ৭শ’ ১৭ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। বাজেটে ঘাটতি থাকছে জিডিপির ৪.৮ শতাংশ। এ হিসেবে বাজেট সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়বে ১ লাখ ৪১ হাজার ২১২ কোটি টাকা। অনুদান ব্যতিত সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়াবে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা।
ঘাটতি পূরণে সরকার প্রথমত বিদেশ থেকে ঋণ নিবে ৭৫ হাজার ৩১০ কোটি টাকা। বাকি ঘাটতি পূরণ হবে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নিয়ে। এর মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেয়া হবে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। আর ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে নেয়া হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা আসবে সঞ্চয়পত্র থেকে।
এর আগে মন্ত্রিসভা ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের অনুমোদন দেয়। বাজেট ঘোষণার আগে দুপুর ১টার একটু পর জাতীয় সংসদ ভবনে বিশেষ বৈঠকে মন্ত্রিসভা এ অনুমোদন দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার এ বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
অসুস্থ থাকার কারণে আসতে দেরি হওয়ায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে ছাড়াই মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরু হয়। পরে অর্থমন্ত্রী অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে সরাসরি বৈঠকে যোগ দেন। এর আগে দুপুর পৌনে ১টার দিকে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে যোগদান জন্য গুলশানে তার নিজ বাসা থেকে রওনা দেন।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের এটি প্রথম বাজেট। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা একাদশ বাজেট। আগামী ৩০ জুন এই বাজেট পাস হবে। ১ জুলাই থেকে শুরু হবে নতুন অর্থবছর।
অর্থমন্ত্রীর ভাষায় এটি হচ্ছে ‘স্মার্ট’বাজেট। অর্থমন্ত্রী তার জীবনের প্রথম বাজেটের শিরোনাম করেছেন ‘সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের’।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন আগামী অর্থবছরের বাজেট দেশের সকল মানুষের জন্য। এতে পার্বত্য অঞ্চল যেমনি বাদ যায়নি, তেমনি বাদ যায়নি সমতল ও চরাঞ্চল, উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিমের কেউই বাদ পড়েনি।
অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করতে হবে, তবে সেটা করের হার বাড়িয়ে নয়। বরং সেটা করতে হবে করের আওতা বিস্তৃত করে। অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করেছেন আগামী বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় কোন জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে পারে তেমন কোন উপকরণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অর্থমন্ত্রীর অসুস্থতার কারণে পরে বাজেট বক্তৃতা পাঠ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন




















