৬০ আসনে প্রার্থী দিতে চায় জামায়াত
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলের নিবন্ধন বাতিল হলেও নির্বাচনের জন্য তারা প্রস্তুতি জামায়াতে ইসলামী। ফলে দল হিসেবে বা দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না তারা। তবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবে জামায়াত।
কিন্তু জামায়াতের নেতারা অন্য কোনো নিবন্ধিত দলের প্রতীকে বা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে পারবেন বলে নিশ্চিত করেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ।
জামায়াতে ইসলামীর মোট কতজন জোটের প্রতীকে বা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে পারেন? এমন প্রশ্নে বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান জানান, তাদের অনুমান অনুযায়ী ৫০ থেকে ৬০ জন এবারের নির্বাচনে অংশ নেবেন।
তবে তিনি বলেন, জামায়াত থেকে কারা নির্বাচনে অংশ নেবেন- তা জোটের দলগুলোর সমঝোতার ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে।
জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘আমরা ২০ দলীয় জোটের অংশ, যেটি এখন ২৩ দলে পরিণত হয়েছে। আমরা জোটের ভিত্তিতেই নির্বাচনে অংশ নেব।’
নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিবেচনায় জামায়াতের হাতে দুটি পথ রয়েছে বলে জানান তিনি। ‘একটি হলো- জোটের কোনো একটি নিবন্ধিত দলের মার্কা নিয়ে নির্বাচন করতে পারি অথবা স্বতন্ত্রভাবেও নির্বাচন করতে পারি।’
তবে কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়া হবে- তা এখনো দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানান এ জামায়াত নেতা।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘জোটের প্রধান শরিক দলের (বিএনপি) সঙ্গে অতিসত্বর বৈঠক হবে আমাদের। ওই বৈঠকে আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব এবং দলীয় ফোরামে এই বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের সময় বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আপত্তি তোলেন ঐক্যফ্রন্টের কয়েকজন নেতা। বিএনপি যেন জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা ত্যাগ করে- এমন পরামর্শও দেয়া হয় তাদের।
এরকম পরিস্থিতিতেও কোনো একটি আসনে ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষেই জামায়াতের নেতাকর্মীরা কাজ করবেন বলে নিশ্চিত করেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল।
এ নেতার ভাষ্য, ‘একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্যকে যদি সফল করতে হয়, তাহলে সবাইকে বড় মনের পরিচয় দিতে হবে।’
একইভাবে যেসব আসনে জামায়াতের নেতারা প্রার্থিতা করবেন, সেসব আসনে ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীরা জামায়াতের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন শফিকুর রহমান।
একই সঙ্গে নির্বাচনে নিজেদের প্রতীক ব্যবহার করতে না পারা বা যুদ্ধাপরাধের দায়ে দলের বেশ কয়েকজন নেতার সাজা কার্যকর হওয়ার কারণে দলের নির্বাচনী প্রচারাভিযান ও কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলেও মনে করেন তিনি।
সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘প্রতিটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনেই আমরা স্বতন্ত্রভাবে অংশগ্রহণ করেছি এবং সেসব নির্বাচনে জনগণের সমর্থনের বিবেচনায় আমরা আশাবাদী যে, দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করলেও বড় কোনো সমস্যা সৃষ্টি হবে না।’
তবে দলের প্রথম সারির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত থাকায় দল বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন