৬৩ বছরের রেকর্ড ছুঁয়ে রানের পাহাড় নিউজিল্যান্ডের

ক্রাইস্টচার্চে চলছে নিউজিল্যান্ড রাজ। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ৫৮৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে কিউইরা। এতে লিড দাঁড়িয়েছে ৬৬০ রান। জবাবে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২৪ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে শ্রীলংকা। স্বাভাবিকভাবেই জয়ের প্রহর গুনছে কেন উইলিয়ামসন বাহিনী।

প্রথম ইনিংসে ১৭৮ রানে অলআউট হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১০৪ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল শ্রীলংকা। এতে ৭৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিকরা। নেমে রানোৎসবে মাতেন টম লাথাম, জিত রাভাল, কেন উইলিয়ামসন, রস টেইলর, হেনরি নিকলস ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম।

সিরিজের প্রথম টেস্টে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ অপরাজি ২৬৪* রানের ইনিংস খেলেন লাথাম। সে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এ ম্যাচেও সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন, ১৭৬ রানের অনিন্দ্যসুন্দর ইনিংস খেলেছেন তিনি। তার পরে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেছেন নিকলস। ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ১৬২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। এছাড়া রাভাল ৭৪, গ্র্যান্ডহোম অপরাজিত ৭১*, উইলিয়ামস ৪৮ ও টেইলর করেন ৪০ রান। সব মিলিয়ে ৪ উইকেটে ৫৮৫ রানের পাহাড় গড়ে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড।

এ নিয়ে অনন্য রেকর্ড গড়েছেন ব্ল্যাক-ক্যাপসরা। ব্যাট করতে নেমে শুরুর ৬ জনই ঢুকেছেন ৪০’র ঘরে। যা নিউজিল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় ঘটনা। এর আগে ১৯৫৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪০’র ঘর ছাড়ান জিওফ র‍্যাবন ব্রিগেডের প্রথম ৬ ব্যাটসম্যান। সেই ঘটনার প্রায় ৬৩ বছর পর ফের ৪০’র ঘর পেরুলেন উইলিয়ামসনের দলের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যান।

৬৬১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে লংকানরা। দলীয় স্কোর বোর্ডে ২৪ রান তুলতেই দুই ওপেনার দানুষ্কা গুনাথিলাকা ও দিমুথ করুণারত্নেকে খুইয়েছেন তারা। এখনও জয়ের জন্য সফরকারীদের দরকার ৬৩৬ রান।