৬ মাসের জন্য নিষিদ্ধ সারিকা
নাটকের শুটিং ফাঁসানোর অভিযোগে টেলিভিশন শিল্পী সংঘের সদস্য সারিকা সাবরিনকে আগামী ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব)। ১ আগস্ট থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। এ সময় এই অভিনেত্রী কোনো নাটক, মিউজিক ভিডিও, বিজ্ঞাপনসহ সমিতির কোনো কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে।
গত ১০ এপ্রিল করা প্রযোজক মোহাম্মদ বোরহান খানের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ জুলাই টেলিপ্যাবের সালিস বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে সংগঠনের কার্যকরী কমিটিতে পাস হয় সিদ্ধান্তটি। সালিস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন টেলিপ্যাবের সভাপতি মামুনুর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক ইরেশ যাকের, সালিস বৈঠকের আহ্বায়ক তারেখ মিন্টুসহ অনেকেই।
তারেখ মিন্টু বলেন, ‘প্রযোজক বোরহান খানের করা অভিযোগ যাচাই করতে আমরা সারিকার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি। চিঠি, ফোন ও খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর পাইনি তার কাছ থেকে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে নোটিশ দেওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর দেয়া সংগঠনের নিয়ম থাকলেও সারিকা ১৫ দিনেও কোনো উত্তর দেননি। শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাকেও কোনো উত্তর দেননি।’
প্রযোজক বোরহান খানের অভিযোগ, গত ২১ মার্চ ৫টি নাটকের শুটিংয়ে নেপাল যাওয়ার কথা ছিল অভিনেত্রী সারিকার। আর এ জন্য নির্মাতার কাছ থেকে অগ্রিম পারিশ্রমিক ৫০ হাজার টাকা নেন সারিকা। সেই সঙ্গে রিটার্ন টিকেট ও নাটকের চিত্রনাট্যও বুঝে নিয়েছিলেন এ অভিনেত্রী। এর আগে ২০ মার্চ সারিকার সাথে নির্মাতাদের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সময়মতো বিমানবন্দর যাবেন তিনি। কিন্তু সঠিক সময়ে বিমানবন্দরে শুটিং ইউনিউ পৌঁছালেও সারিকা যাননি। তারপর থেকেই সারিকার মুঠোফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
এরপর সারিকাকে ছাড়াই নেপালে চলে যায় শুটিং ইউনিট। তাই পরিকল্পনায় থাকা সারিকাকে নিয়ে নাটক ৫টি নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। যার কারণে প্রযোজক বোরহান খান আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। প্রযোজক জানিয়েছেন, নাটক দুটি নির্মাণ করার কথা ছিল দীপু হাজরা ও আসাদুজ্জামান আসাদের৷ ওই বিবৃতিতে সংগঠনটি আগামী ছয় মাসের মধ্যে নাটক, মিউজিক ভিডিও, বিজ্ঞাপনসহ কোনো কর্মকাণ্ডে সারিকাকে না নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়।
এ ব্যাপারে জানতে সারিকার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘নিষিদ্ধের চিঠি এখনো আমারে হাতে এসে পৌঁছায়নি। যদি পাই, আমি যা করণীয় তা-ই করব। প্রয়োজন হলে ক্ষমা চাইব।’
ছয় মাস নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে সভাপতি মামুনুর রশীদ বলেন, ‘এ ধরনের বিশৃঙ্খলা করেও ফোন ধরেননি, চিঠির কোনো উত্তরও দেননি সারিকা। বাধ্য হয়েই আমাদের এই ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন