৭টি নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেছে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন

দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আগত মোট রোগীর মধ্যে অতি দরিদ্র ২০ শতাংশ রোগীকে বিনামূল্যে সম্পূর্ণ চিকিৎসাসেবা দেয়ার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশন।

২০ শতাংশের মধ্যে ১০ শতাংশ সরকারিতে আর বাকি ১০ শতাংশ রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

সোমবার (৫ মে) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে কমিশন সদস্যরা এ সব কথা বলেন।

৭টি নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেছে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন

রোগীর সুরক্ষা, আর্থিক বরাদ্দ ও ধারাবাহিকতা, জবাবদিহিতা ও জরুরি প্রস্তুতি নিশ্চিত করাসহ পুরোনো আইন পর্যালোচনা ও যুগোপযোগী করার পাশাপাশি ৭টি নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেছে স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন।

প্রস্তাবিত আইনগুলো হলো, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কমিশন আইন, বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস আইন, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা আইন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন, ওষুধের মূল্য নির্ধারণ ও প্রবেশাধিকার আইন, অ্যাপলায়েড হেলথ প্রফেশনাল কাউন্সিল আইন ও বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল আইন।

সোমবার (৫ মে) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ খান এসব তথ্য জানান।

এর আগে স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।

২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর জাতীয় অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খানকে প্রধান করে ১২ সদস্য বিশিষ্ট স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন গঠিত হয়। কমিটিতে দেশের খ্যাতনামা চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, সাবেক আমলাসহ একজন ছাত্র প্রতিনিধি রয়েছেন।