’৭১ সালে ড. কামাল ইয়াহিয়ার সঙ্গে ছিলেন : আবদুর রহমান
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারকে ড. কামাল হোসেন ইয়াহিয়ার (তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট) সঙ্গে তুলনা করে জঘন্য অপরাধ করেছেন। বিবেকের আয়নার সামনে দাঁড়ালে ড. কামাল হোসেন যা করছেন তাতে তারপাশেই তিনি ইয়াহিয়াকে দেখতে পাবেন। তিনি বলেন, এখন তো ড. কামাল ইয়াহিয়ার অনুসারীদের সঙ্গেই আছেন। এ ছাড়া একাত্তর সালে তিনি ইয়াহিয়ার সঙ্গেই ছিলেন। এ কারণে তাকে বাংলাদেশে দেখা যায়নি।’
মঙ্গলবার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা আকতারুজ্জামান, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহমদ হোসেন, আকতার হোসেন, মমতাজ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঐক্যফ্রন্ট বড় ধরনের নাশকতা করার ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে আবদুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনী মাঠে গিয়ে তারা যখন দেখছে যে, তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই তখন তারা পাকিস্তানের আইএসআই এর সহাতায় নির্বচনকে ভন্ডুল এবং বানচাল করার জন্য এ ধরনের নাশকতা করার পায়তারা করছে।’
আবদুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ঐক্যফ্রন্টের সন্ত্রাসীদের তাণ্ডপ ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৪ সালে আইএসআইয়ের (পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা) পেসক্রিপশন অনুযায়ী বিএনপি-জামায়াত যেমন পেট্রোলবোমা মেরে আগুন সন্ত্রাসে মেতে উঠেছিল এবারও একই ঘটনা ঘটানোর ষড়যন্ত্র করছে।’
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দাবি, বিএনপি যতদিন রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে তাতে এমন কোনো সফলতা নেই যে, তারা সেটাকে সম্বল করে মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাবে। মাঠে গিয়ে তারা মানুষের সমর্থন পাচ্ছে না। এ কারণে তারা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে।’
বিএনপির ওপর হামলার অভিযোগ এনে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনির চাঁদপুরের বাসায় হামলা চালানো হয়েছে। মুন্সিগঞ্চে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যামিলির নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এভাবে তারা দেশের বিভিন্নস্থানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, আগুন দিয়ে অফিস পুড়ে দিচ্ছে।’
আবদুর রহমান বলেন, ‘সেনাবাহিনী আমাদের সুশৃঙ্খল বাহিনী। আমাদের সেনাবাহিনীর সুনাম বিশ্বজুড়ে। সেই সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী কোনো পক্ষ অবলম্বন করতে পারে না। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি তাদের (বিএনপি) যে অভিযোগ তা মনগড়া, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তারা এ বিষয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন