৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ : শেখ হাসিনা
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের আবেদন কখনো ফুরাবে না। এ ভাষণ যুগ যুগ ধরে থাকবে, এ ভাষণ এখনো আমাদের প্রেরণা জোগায়। এজন্যই এটি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ। যারা একসময় এটাকে নিষিদ্ধ করেছে, ধীরে ধীরে তারা আস্তাকুড়েই যাবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের ৭ মার্চের আলোচনা সভায় দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিজয়ের পর মাত্র সাড়ে ৩ বছর বঙ্গবন্ধু সময় পেয়েছিলেন। এরপর আমাদের জীবনে অমানিশার অন্ধকার। এমনকি এই ৭ মার্চের ভাষণও সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়।
৭ মার্চের ভাষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন আমার মা। ওই দিন সকাল থেকে অনেক নেতা অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। অনেকে চিরকুট রেখে গেছেন। দুপুরে খাবারের পর মা আব্বাকে বললেন, আপনাকে একটু রেস্ট নিতে হবে। তখন আব্বাকে বেডরুমে নিয়ে গেলেন। ১৫ মিনিট রেস্ট নেন। সেসময় মা আব্বাকে বলেছিলেন, অনেকে কথা বলেছে। আজকে তুমি তোমার মন যা বলবে, তাই বলবা। কারণ তোমার এই ভাষণের ওপর বাঙালির ভাগ্য নির্ধারণ হবে। তুমি যা ভালো মনে করবে বলবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের গণ-অভ্যুত্থানের রিপোর্ট সংগ্রহ করেছি, এটা ১৪ খণ্ডে বের হবে। এ থেকে আপনারা সবই জানবেন। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস জানার জন্য এ বই যথেষ্ট হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, অসহযোগ আন্দোলনটাও যদি দেখেন, পৃথিবীর কেউ এমন অসহযোগ আন্দোলন করতে পারেনি। এমনকি ইয়াহিয়া খান বাংলাদেশে আসলে বাঙালি বাবুর্চিও রান্না করেনি। ৩২ নম্বর থেকে ফোন আসার পর রান্না করেন। কাজেই আপনারা বুঝতে পারেন জাতির পিতার নেতৃত্বে বাঙালি কতটা ঐক্যবদ্ধ ছিলো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন