৭ মাস এমপি ছিলাম, জামায়াত-বিএনপির কাউকে হয়রানি হতে দিইনি: জাপা’র সাবেক এমপি আশু

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাতক্ষীরা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আশরাফুজ্জামান আশু বলেছেন, আমি মাত্র ৭ মাস সংসদ সদস্য ছিলাম। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে প্রমাণ করেছি, রাজনীতিতে সৌজন্যতা ও ন্যায়ের কোনো বিকল্প নেই। আমার এলাকায় জামায়াত-বিএনপির একটি নেতাকেও বিনা কারণে গ্রেপ্তার হতে দিইনি। কাউকে হয়রানি করা হয়নি। সকল রাজনৈতিক দলের জন্য সমান আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করেছি।

সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় পার্টির আয়োজনে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বর্তমানে দেশে বেড়ে চলা মব সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, মব সন্ত্রাস আজ দেশের শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের দলমত নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, এরশাদ সাহেবই সংবিধানে ‘ইসলাম’–কে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধকে সম্মান জানানো এবং একই সঙ্গে অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের স্বাধীনতা রক্ষা—এই ভারসাম্যই একটি শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র গঠনের পথ। তাঁর এই সিদ্ধান্ত আজও বাংলাদেশে ধর্মীয় স্থিতিশীলতার অন্যতম ভিত্তি হয়ে আছে।

স্মরণসভায় জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজহার হোসেনের সভাপতিত্বে ও জেলা জাতীয় তরুণ পার্টির আহবায়ক আবু ইয়াছিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বাবু, সাতক্ষীরা সদর সভাপতি আনোয়ার জাহিদ তপন, জেলা যুগ্ম সম্পাদক সম্পাদক সাখাওয়াতুল করিম পিটুল, সদর সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান বিপুল, জেলা ছাত্রসমাজের সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর কায়ছারুজ্জামান হিমেল, জাতীয় শ্রমিক পার্টির জেলা আহবায়ক মাগফুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির আহবায়ক কাজী আমিনুর রহমান ফিরোজ, সদস্য সচিব আহবায়ক কমল বিশ্বাস, জাতীয় ছাত্রসমাজের নেতা কায়ামুজ্জামান পাভেল, সাকিব জামান দীপ্ত প্রমুখ।

এছাড়াও স্মরণসভায় জাতীয় পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।