’৮৪ সালের সীমানায় নির্বাচন চায় বিএনপি
১৯৮৪ সালের সংসদীয় সীমানা অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন ভবনে সিইসি কার্যালয়ে রোববার ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যর খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, ১৯৮৪ সালে গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ করে ’৮৬, ’৯১, ’৯৬, ’৯৮, ২০০১ সালের সংসদের নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হয়। সেটাই ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের আইন ভঙ্গ করে ওয়ান-ইলেভেনের সরকার ২০০৮ এর নির্বাচনের আগে আসনগুলোকে ভেঙে প্রায় ১৩৩টি আসনে পুনর্বণ্টন করেছে। ভৌগোলিক সীমারেখা, প্রশাসনিক সুবিধা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা বিবেচনা না করে ১৩৩টি আসনে পুনর্বিন্যাসের নামে একটা ‘হসফস’ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে যেটা দাবি নিয়ে এসেছি ২০০৮ এর নির্বাচনের পূর্বে যে আসন ছিল সেই আসন সম্পর্কে যেহেতু এরপর কোনো রাজনৈতিক দল, গোষ্ঠী, সুশীল সমাজ এ ব্যাপারে আপত্তি করেনি। সেজন্য আমরা ২০০৮ এর পূর্ববর্তী যে আসনগুলো সেভাবে পুনর্নির্ধারণ করার জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানাতে এসেছি।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময়ের সরকার জনগণের সরকার ছিল না। এটা একটা জরুরি আইনের সরকার ছিল। তারা কি মনে করে করেছে, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করেছে সেটা আমরা জানি না। তবে ওই কাজগুলো সঠিক হয়নি।
এ বিষয়ে সিইসি বলেন, বিএনপি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে কথা হয়েছে। সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে তারা ১৯৮৪ সালের যে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেই নীতিতে ফিরে যাওয়ার কথা বলেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে আন্তরিকভাবে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করব। সীমানা পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে আমরা কিছুটা পরিবর্তন আনতে চাই। সেটা প্রথম শুনলাম একটা বড় রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে। এরপর আমরা পর্যায়ক্রমে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে, সুশীল সমাজ, মিডিয়ার সঙ্গে আলোচনা করব। কাজেই এই মুহূর্তেই ’৮৪ সালে ফিরে যাব এটা বলা যাবে না।
বিএনপির দাবির সঙ্গে একমত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সীমানা পুনর্বিন্যাস নিয়ে তারা যেমন কনসার্ন আমরাও কনসার্ন। ’৮৪তে ফিরে যাবে এ কথা বলিনি। তারা যেই প্রস্তাবটা দিয়েছে সেটার ব্যাপারে আমরা একমত, কিছুটা পরিবর্তন আমরা আনতে চাইব।
সরকারকে চাপে রাখার কোনো এখতিয়ার তো আপনাদের নেই এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, নেই। বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুর রশীদ সরকার ও ক্যাপ্টেন সুজা উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। সিইসির সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহাবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন