৮৭ হাজার গ্রাম আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের আওতায়
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচাৰ্য্য বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ-১ ‘আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প’ একটি অন্যতম দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্প। এ পর্যন্ত সারাদেশে মোট ৮৭ হাজার ২২৩টি গ্রামকে এ প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের (নোয়াখালী-২) প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষদের সংগঠিত করে স্থায়ী তহবিল গঠনপূর্বক আয়বর্ধক কাজে বিনিয়ােগের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় সমিতির প্রতি সদস্য মাসে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা করে বছরে ২ হাজার ৪০০ টাকা এবং ২ বছরে ৪৮০০ টাকা সঞ্চয় করেন। প্রতি সদস্যকে সঞ্চয়ের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৮০০ টাকা উৎসাহ বোনাস এবং প্রতি সমিতিকে বছরে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে ২ বছরে ৩.০০ লাখ টাকা আবর্তক তহবিল প্রদান করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘২ বছরে প্রতিটি সমিতির স্থায়ী তহবিলের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৯ লাখ টাকা। সমিতির সদস্যরা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী এ তহবিল থেকে ১৫ হাজার হতে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নিয়ে আয়বর্ধক ক্ষুদ্র খামার সৃজনের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন। উপকারভোগীরা আয়বর্ধক কাজের জন্য প্রকল্প থেকে বিভিন্ন কৃষিজ ট্রেডে প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন এবং ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধের সুযোগ পাচ্ছেন।’
এছাড়া প্রকল্পের সদস্যরা প্রকল্প থেকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মাধ্যমে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা উন্নয়ন ঋণ নিয়ে বিভিন্ন আয়বর্ধক কাজে বিনিয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। প্রকল্পটি আগামী জুন মাস পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হবে বলে তিনি জানান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন