৮ দিনেও রায়ের কপি না দেয়া ‘পরিকল্পিত’ : ফখরুল

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের অনুলিপি আট দিনেও না দেয়াটা সরকারের ‘পরিকল্পিত’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন। এর আগে আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন এবং রায়ের অনুলিপি দেয়া নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ধূম্রজাল সৃষ্টি করা হয়েছে। বৈঠকে আমরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বেআইনিভাবে রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি দেয়া হচ্ছে না। এটা সম্পূর্ণ আইনের লঙ্ঘন। আইনে রয়েছে পাঁচ দিনের মধ্যে সত্যায়িত অনুলিপি দেয়ার কথা। কিন্তু আট দিন হলেও সেটা এখনো দেয়া হয়নি। সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আইনকে হাতে নিয়ে বেআইনি কাজ করছে।’

আইনজীবীদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার পৌনে এক ঘণ্টা বৈঠক শেষে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেশনেত্রীর মুক্তির বিষয় আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে আইনজীবীরা সমর্থন দিয়েছেন। তারা বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে সামগ্রিকভাবে অংশগ্রহণ করবেন। আর আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই তাকে মুক্ত করা হবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘রায়ের অনুলিপি দিতে দেরি করার এখনো কোনো যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা আমাদের দেয়া হয়নি। রায়ের দিনই আমরা সত্যায়িত অনুলিপি চেয়েছিলাম, কিন্তু দেয়নি।’

তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টে বিধান আছে, একটি সত্যায়িত কপি দ্বারা আপিল ফাইল করা যায়। কিন্তু আজ পর্যন্ত সত্যায়িত কপিটিও তারা দেয়নি।’

বৈঠক অন্যদের মধ্যে অংশ নেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, মীর নাছির উদ্দিন আহমেদ, নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু প্রমুখ।