৮ বছরে ২২ লাখ টাকার ফল বিক্রি করেছে সংসদ

সংসদ এবং নাখালপাড়াস্থ সংসদ সদস্যদের (এমপি) বাসস্থান ন্যাম ফ্ল্যাট ভবন এলাকায় উৎপাদিত বিভিন্ন ফল বিক্রি করে সরকারের আয় বাড়ছে। চলতি বছরসহ বিগত ৮ বছরে ২১ লাখ ৯০ হাজার ৫০০ টাকার ফল বিক্রি করা হয়।

জানা যায়, সংসদ ভবনের বিশাল এলাকায় আম, কাঁঠাল ও নারিকেল মিলিয়ে ফলফলাদির পাঁচ শতাধিক গাছ রয়েছে। রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ ২০১১ সালে স্পিকার থাকাকালীন এসব ফলফলাদি নিলামের ব্যবস্থা করেন। প্রতি বছর ডিসেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এসব গাছের ফল বিক্রি করা হয়।

ফলগুলো নিলামে দেয়ার আগে কোন জায়গায় কয়টি ফলের গাছ আছে তার জরিপ করা হয়।

সেই হিসেব অনুযায়ী সংসদ ভবন এলাকায় ১৩৪টি আম, ১১৯টি কাঁঠাল ও ২৪৯টি নারিকেল গাছ আছে। তবে নাখালপাড়াস্ত এমপিদের বাসস্থানের গাছগাছালির হিসাব এখনও করা হয়নি। আর মানিক মিয়া এভিনিউয়ের সংসদ সদস্য ভবনে তেমন কোনো গাছ নেই।

সূত্র জানায়, ২০১১ সালে ১ লাখ ৫৩ হাজার, ২০১২ সালে ২ লাখ ২৫ হাজার, ২০১৩ সালে ২ লাখ, ২০১৪ সালে ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০০, ২০১৫ সালে ২ লাখ ৯৫ হাজার, ২০১৬ সালে ৪ লাখ ৩০ হাজার, ২০১৭ সালে ৩ লাখ ১৭ হাজার আর চলতি বছরে নিলাম উঠেছে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। এসব টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সংসদের প্রধান হুইপ আসম ফিরোজ বলেন, সংসদ ও এমপিদের বাসস্থানের ফলফলাদিগুলো আগে চুরি হয়ে যেত। এখন আর তা হয় না।

এদিকে জাতীয় সংসদ চত্বরে ফলেছে আরবের খেজুর। একটি গাছে ১৩টি বড় বড় থোকার খেজুর রয়েছে। গাছটি নিয়ে উৎসাহের শেষ নেই সংসদের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দর্শনার্থীদের।