৮ বছর ধরে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ!
আট বছর ধরে এক মেয়েকে ধর্ষণ করছেন তারই সৎবাবা। ধর্ষণের এক পর্যায়ে তার আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ক্লিপ মেয়েটির বন্ধুর কাছে পাঠিয়ে দেয়। মান সম্মান রক্ষার্থে মেয়েটি উপস্থিত হয় ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদারের অফিসে। ডিসি মেয়েটির অভিযোগ শুনে ‘থ’ বনে যান। শুরু হয় তদন্ত। তিন দিন ধরে ঘটনাটি তদন্ত করে এর সত্যতা পায় পুলিশ।
এরপর গত মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাতে পুলিশের পরামর্শে মেয়েটি রমনা থানায় উপস্থিত হয়ে নারী নির্যাতন দমন আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয় তার সৎ বাবা আরমান হোসেন ওরফে সুমনকে (৩৮)।
আসামি আরমান হোসেন সুমন বেসরকারি টিভি চ্যানেল নিউজ ২৪-এর শব্দ প্রকৌশলী (সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার)। বুধবার (১২ জুলাই) রাতে আরমান হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে রমনা থানা পুলিশ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, তার বাবার সঙ্গে মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ২০০৫ সালে আরমান হোসেনকে বিয়ে করেন তার মা। দ্বিতীয় বিয়ের এক বছর পর থেকে মায়ের কাছে থাকা শুরু করেন মেয়েটি। চাকরির কারণে মেয়েটির মা মোহাম্মদপুরের নুরজাহান রোডের বাড়ি থেকে সকালে কর্মস্থলে চলে যেতেন।
২০০৮ সালের কোনো একদিন দুপুরে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েটিকে আরমান প্রথম ধর্ষণ করেন। এ সময় মেয়েটির আপত্তিকর ছবি মোবাইলে তুলে রাখেন আরমান। ছবি ও ভিডিও প্রকাশের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আরমান এরপর থেকে প্রায়ই ধর্ষণ করে আসছিলেন বলে অভিযোগ করেন মেয়েটি।
২০১৫ সালে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে পরে গর্ভপাত ঘটান। এরপরও তার ওপর নির্যাতন চালিয়ে যান আরমান। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ওই মেয়ে নিউ ইস্কাটন রোডে খালার বাড়িতে চলে আসে। এরপরও আরমান তাকে কুপ্রস্তাব পাঠাতেন। রাজি না হলে এক পর্যায়ে ধর্ষণের ভিডিও ক্লিপ ওই মেয়ের বন্ধুর কাছে পাঠিয়ে দেয়।
রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার জানান, আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন