৯৫ বছর বয়সী দম্পতির ৭৫তম ভালবাসা দিবস উদযাপন
ইংল্যান্ডে ৯৫ বছর বয়সী এক দম্পতি তাদের ৭৫ তম ভালবাসা দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছেন। ১৯৪৩ সালের ডিসেম্বরে জেমস ও সিসিলিয়া মার্স নামে ওই দম্পতি বিবাহে বন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর একে একে বিয়ের ৭৫টি বছর কেটে যায় তাদের। দাম্পত্য জীবনের সুখী এই দম্পতি সুখে দুঃখে একে অপরের পাশাপাশি ছিলেন। এক মুহূর্তের জন্যও কেউ কাউকে ছেড়ে যাননি। আগামীকাল একসঙ্গে বিশ্ব ভালবাসা দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছেন।
এবারের ভালবাসা দিবসে উদযাপন সম্পর্কে সিসিলিয়া জানান, অত জমকালভাবে আমরা ভালবাসা দিবস পালন করছি না তবে আমাদের ভালবাসার কমতি নেই। আমরা ফুল চকলেট দিয়েই দিবসটি পালন করবো।
এত দীর্ঘ বছরের সুখী দাম্পত্য জীবনের রহস্য বলতে সিসিলিয়া জানান, যেকোন বিপদে আপদে এক সঙ্গে লড়ে গেছেন তারা। কেউ কাউকে ছেড়ে যাননি।
সিসিলিয়া আরো জানান, আমি কখনো ভাবিনি জেমসের সঙ্গে এতদিন একসঙ্গে জীবন কাটাতে পারবো। কেননা যুদ্ধের জন্য খনিতে কাজ করার জন্য জেমসকে ডাকা হয়। আমাদের নানা আপত্তি থাকা সত্তেও তাঁকে সেখানে না যাওয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় ছিল না। তবে তাতেও তাদের ভালবাসায় কোন ঘাটতি পড়েনি তাদের।
এছাড়া তরুণ বয়সে অনেক স্মার্ট ছিল জেমস। এজন্য অনেকের কাছে পরিচিত ছিল সে। বিয়ের আগেও জেমস যেমন ছিল ঠিক বিয়ের ৭৫ বছর পরেও তেমনি আছে জেমস। আমার প্রতি জেমসের ভালবাসা একটুও কমেনি জানান সিসিলিয়া।
তিনি আরো জানান, আমরা বড়দিনে বিয়ে করি এজন্য বিয়ের তারিখটি মনে রাখতেও আমাদের কোন সমস্যা হয়নি। আমরা যা করেছি সবকিছু একসঙ্গে করেছি। কেউ কাউকে কোন সময়ের জন্য দূরে ঠেলে দেইনি।
জেমসের প্রথম চাকরি ছিল স্থানীয় একটি হার্ড ওয়ারে। বেতন তেমন ভাল একটা পেতেন না। তবে তারপরও তাদের সংসারের ভালবাসার কোন কমতি ছিল না। এসম্পর্কে জেমস বলেন, সুখে থাকতে তেমন বেশি টাকা পয়সার দরকার পড়ে না। আমাদের কম টাকা সত্তেও আমরা একটা ভাল বাড়ি বানিয়েছে যেখানে আমাদের সন্তানরা অনেক ভালবাসার মধ্যে বেড়ে উঠেছে।
এছাড়া জেমস বলেন, এত বছরের সংসার জীবনে আমদের অনেক সময়ই টাকার অভাব পড়েছিল কিন্তু আমাদের দুই জনের মধ্যে কখনো এ নিয়ে মতবিরোদ হয় নি ভালবাসার কমতিও দেখা দেয় নি দু জনের মধ্যে।
সিলিয়া পেশায় একজন দর্জি ছিলেন। তবে এই দম্পতির কেউ এখন আর কাজ করেন না। তাদের সন্তানরা তাদের দেখাশুনা করেন। এই সুখী দম্পতির ঘরে তিন সন্তান ও ১০ জন নাতিনাতনি আছে। তাদের সবাইকে নিয়ে অনেক সুখে আছেন বলে জানান তারা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন