জামালপুরে ডায়বেটিক ব্রি-১০৫ ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে

গ্রামীন অর্থনীতি গতিশীল ও কৃষকদের স্বনির্ভরতা করার লক্ষ্যে সরকার একের পর এক প্রকল্প হাতে নিয়ে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। সরকার কৃষি বিভাগের মাধ্যমে জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলায় ব্রি-১০৫ ডায়াবেটিক ধান চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন। এ ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। কৃষক পর্যায়ে আগ্রহ দেখায় গ্রামীন অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে।

জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সর্মৃদ্ধ এলাকা। এ উপজেলার সর্বত্র বিভিন্ন জাতের ধান চাষ হয়ে থাকে। সরেজমিনে লক্ষীরচর, রায়েরচর, টেবিরচর, তুলশীরচর, কাজিয়ারচর, চর যথার্থপুর, সাহাবাজপুর, দিকপাইত, রশিদপুর সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, কৃষি বিভাগ ব্রি-১০৫ ডায়াবেটিক ধান চাষের উদ্যোগ নেয়ায় ব্যপক সাড়া পড়েছে। অনেকেই এ ধান চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ ব্যপারে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: এমদাদুল হক জানান, ব্রি-১০৫ ডায়াবেটিক ধান অন্যান্য ধান গাছের কিছুটা আলাদা। পাতা সবুজ ও খাড়া আর ধানের দানা মাঝারি লম্বা চিকন হয়। ফলে বাম্পার ফলন হয়ে থাকে।

সরকারের এ প্রকল্প কৃষি বিভাগ মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ছড়িয়ে দিচ্ছে। ইতোমধ্যে কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে ডাংধরা,পাররামপুর,হাতিবান্দা, বগারচর, বাট্রাজোর, চিকাজানি, নাংলা, আদ্রা, মহাদান, ভাটারা, কামরাবাদ, পোগলদিঘা,সাতপোয়া সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে অধিকাংশ কৃষক জানান, কৃষি বিভাগ ব্রি-১০৫ ডায়াবেটিক ধান চাষের জন্য মাঠ পর্যায়ে উদ্বুদ্ধকরন বীজ সার দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষক পর্যায়ে ব্যপক সাড়া পড়েছে। ফলে ব্রি-১০৫ ধান চাষ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে। কৃষি বিভাগ জানান, এ ধানে স্বল্প পরিমানে কার্বোহাইড্রেট সম্পন্ন পুষ্টিকর। যা ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার উপযোগী। এ বিষয়ে জেলা কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সৈয়দ মোখলেছুর রহমান জিন্নাহ কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কৃষক বান্ধব আওয়ামীলীগ সরকার কৃষকদের স্বাবলম্বি করার জন্য সব সময় উন্নয়নমুখী প্রকল্প করে যাচ্ছেন। সরকারের এ প্রকল্পের কারনে গ্রামীন অর্থনীতির চাঁকা জোরালো গতিতে ঘুরছে।