তিস্তা না দিয়ে আত্রাইয়ে পানি চাইলেন মমতা
বাংলাদেশের আত্রাই নদ থেকে পানি ছাড়ার দাবি তুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এ দাবি নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর ফের নতুন করে চাপ সৃষ্টি করবেন বলেও জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশী হারি নারায়ণপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আত্রাই নদের পানি ছাড়ার এ দাবি জানান। তিনি সেখানে বলেন, এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলবেন। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে যখন দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে, সেই মুহূর্তে তিনি এ কথা বললেন।
গত মাসে তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু তিনি রাজি না থাকায় তিস্তা পানি চুক্তি হয়নি। এর এক মাস পর মমতা বাংলাদেশের কাছ থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রবাহিত আত্রাই নদের পানি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন। বাংলাদেশ দিনাজপুর জেলার মোহনপুরের আত্রাই নদে একটি রাবার ড্যাম তৈরি করেছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আত্রাই নদে আমাদের না জানিয়ে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। বাঁধের ফলে নদীর পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, কখনো আবার বাঁধ থেকে পানি ছেড়েও দেওয়া হচ্ছে। ফলে আচমকা প্লাবিত হচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা।’ রাজ্যকে না জানিয়ে ওই বাঁধ দেওয়া কেন হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রের কাছে জানতে চান তিনি। মমতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র। ওদের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক আছে। কিন্তু এ বিষয়টিও দেখতে হবে। আর এটা দেখার কথা কেন্দ্রের।’
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে উদ্ধৃত করে টিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আমি জানি, আত্রাই নদে পানির অভাব গুরুতর আকার ধারণ করেছে। আমি জেলা প্রশাসক এবং প্রধান সচিবকে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে বলেছি। এটি একটি আন্তর্জাতিক বিষয়, তাই আমি বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলব।’
বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত পরিবেশবাদী কর্মী দিশারি সংকল্প ২০১৫ সালে ‘আত্রাই বাঁচাও’ আন্দোলন শুরু করেন। এ ছাড়া স্বাক্ষর সংগ্রহ, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারে চিঠি এবং হাজারো ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে তিনি এ আন্দোলনে শামিল করেন। স্থানীয় তৃণমূল সংসদ সদস্য অর্পিতা ঘোষ বিষয়টি পার্লামেন্টে তোলেন।
মমতা বলেন, ‘পার্লামেন্টে ব্যাপারটি তুলে ধরার আগে অর্পিতা আমাকে বলেছিলেন। তিনি (অর্পিতা) রাজ্য সরকারকে এ ব্যাপারটি নিয়ে বাংলাদেশের যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারকে পাশ কাটিয়ে রাজ্য সরকার কীভাবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবে?’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন