জ্বালানি তেলের দাম কমছে না
আপাতত জ্বালানি তেলের দাম কমানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। রোববার জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে লিখিত প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ কথা জানিয়েছেন।
সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য গত এক বছর ধরে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এখন তা অব্যাহত আছে। ডলারের সঙ্গে টাকার বিনিময় হার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এটি চলতে থাকলে আগামী অর্থবছর থেকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) আবার লোকসানের সম্মুখীন হতে পারে। বাস্তবতার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমা-বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরে জ্বালানি তেলের বাড়ানো-কমানো করা সম্ভব হয় না। তিনি বলেন, এর আগে ভর্তুকি মূল্যে জ্বালানি তেল বিক্রি করায় ২৭,৪১৯.৮১ কোটি টাকার সরকারি ঋণের দায় এখনো বিপিসির ওপর রয়ে গেছে। দ্বিতীয় দফায় জ্বালানি তেলের মূল্য কমানো হলে বিপিসি আবার লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে এবং ঋণ করে জ্বালানি তেল আমদানি করতে হবে। তেলের মূল্য কমানো হলে তার সুফল সাধারণ জনগণ সরাসরি উপভোগ করতে পারে না।
বিদ্যুতের ১৭টি প্রকল্পে বাস্তবায়নের হার শূন্য: রুস্তম আলী ফরাজীর আরেক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুৎ খাতের ১৭টি প্রকল্প বাস্তবায়নের হার শূন্য। এর মধ্যে ১২টি প্রকল্প ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি প্রণয়নের পরবর্তী সময়ে অনুমোদিত হয়েছে এবং সেসব প্রকল্পের অনুকূলে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে কোনো বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে অর্থবছরটির সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অর্থ ছাড়ের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। অন্য পাঁচটি প্রকল্প উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সঙ্গে ঋণচুক্তি না হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে আটকে আছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন