মিশার শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন শাকিব?
সদ্য শেষ হয়েছে বহুল আলোচিত বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে জয় লাভ করে ক্ষমতা হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় মিশা-জায়েদ প্যানেল। রাত পোহালে সে অপেক্ষারও সমাপ্তি হতে যাচ্ছে। কারণ, শুক্রবারই নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা শপথ নিতে যাচ্ছেন!
নবনির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগরের নেতৃত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন কমিটি ২০১৭-১৮ মেয়াদের দায়িত্ব বুঝে নেবেন মিশা সওদাগর। তার নেতৃত্বেই আগামি দিনে শিল্পী সমিতি কাজ শুরু করবে। এখন বাকি নব নির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ।
চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশনার মনতাজুর রহমান আকবর জানান, প্রথমে ১৩ মে শিল্পী সমিতির শপথ অনুষ্ঠানের কথা ছিলো। কিন্তু পরে অনেক শিল্পী পরশু’র মধ্যে দেশের বাইরে যাচ্ছেন বলে তা দুইদিন এগিয়ে ১১ মে শুক্রবারে আনা হয়। সেই হিসেবে শুক্রবারেই এফডিসিতে শপথ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা বুঝে নিতে যাচ্ছে নতুন কমিটি।
আর এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গেলবারের শিল্পী সমিতির ক্ষমতায় থাকা শাকিব-অমিত হাসান প্যানেলের বিদায় ঘটবে। শপথ অনুষ্ঠানে সাধারণত নবনির্বাচিত কমিটিকে ক্ষমতা বুঝিয়ে দিতে উপস্থিত থাকেন বিদায়ী সভাপতির প্যানেল। তাহলে কি এবারও মিশা-জায়েদ প্যানেলের হাতে ক্ষমতা ছাড়বেন শাকিব খান? এমন প্রশ্ন এখন সবার মনে।
প্রশ্ন উঠছে, শুক্রবার মিশার নেতৃত্বাধীন নতুন কমিটিকে তাহলে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করতে কি উপস্থিত থাকবেন শাকিব খান? নাকি তিনি ব্যক্তিগত আক্রোশে শিল্পী সমিতির শপথ অনুষ্ঠানটি এড়িয়ে যাবেন। এমন প্রশ্ন উঠা অস্বাভাবিক নয়। কারণ, সদ্য শেষ হওয়া শিল্পী সমিতির নির্বাচনের দিন রাতে এফডিসিতে শাকিবের আগমন নিয়ে হয়ে গেছে তুলকালাম কাণ্ড! অভিযোগ আছে, নির্বাচনের দিন রাতে মিশা-জায়েদের ইশারায় হামলা করা হয়েছে শাকিবের উপর!
তবে এতো সবকিছুর পরেও দায়িত্ববোধের জায়গা থেকেই কি এফডিসিতে এসে মিশা-জায়েদ প্যানেলকে অভ্যর্থনা জানাবেন শাকিব, এমন প্রশ্ন করতেই নির্বাচন কমিশনার মনতাজুর রহমান আকবর বলেন, শাকিব আসতে পারে। জানি না। তারা দেখলাম বসছে। গতবারের সেক্রেটারি অমিত হাসান থাকতে পারে, এতুটুকু শুনেছি। শাকিব খান আসবে কিনা, আমি কনফার্ম না।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৫ মে) সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির। পরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ভোট গণনা হয়। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৬২৪ জন। এর মধ্যে ভোট দেন ৫৫৮ জন। আর এই নির্বাচনেই মিশা সওদাগর ২৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ওমর সানী পেয়েছেন ১৫৩ ভোট,যদিও ভোটের হিসেবে গড়মিল থাকায় ওমর সানির অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তীতে পুনরায় ভোট গণনা করেন আপিল বিভাগ। যেখানে প্রথমবারের চেয়ে ৮টি ভোট বেশি পান তিনি। আর এবার সুপারস্টার শাকিব খান নির্বাচন না করলেও সমর্থন জানিয়েছিলেন ওমর সানি-অমিত হাসান প্যানেলটিকে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন