বন্ধই হচ্ছে বিক্রমের ধারাবাহিক ‘ইচ্ছেনদী’
অভিনেতাকে ঘিরে দানা বেঁধেছে নানা বিতর্ক। এবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ‘ইচ্ছেনদী’ ধারাবাহিকটিও। কেন? টেলি-পাড়ার বড় অংশেরই ধারণা, ধারাবাহিকটির মূল অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায় গাড়ি দুর্ঘটনা মামলায় জড়িয়ে পড়ার জেরেই এই সিদ্ধান্ত। কারণ বিক্রমকে এখন প্রায় নিত্যদিনই পুলিশের জেরার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। নানা আইনি জটিলতায় আটকে পড়ছেন বিক্রম। সেই কারণেই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে এই জনপ্রিয় ধারাবাহিকটি।
যদিও ধারাবাহিকের লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায় দাবি করছেন, বিক্রম-সনিকার গাড়ি দুর্ঘটনার সঙ্গে ধারাবাহিক শেষ হয়ে যাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। গল্প শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই বছর খানেক আগে থেকেই ধারাবাহিকটি শেষ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ওই জায়গায় ‘কুন্দ ফুলের মালা’ নামে নতুন ধারাবাহিকের কাজও শুরু হয়ে গেছে। যদি ধারাবাহিকের গল্প বাকি থাকত, তাহলে প্রধান চরিত্রকে বাদ দিয়েও ধারাবাহিক চলত। যেমন ‘ইষ্টিকুটুম’ সাত মাস চলেছিল প্রধান চরিত্র বাহাকে ছাড়াই। লীনা অবশ্য বিক্রম প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, ‘এটা বিচারাধীন বিষয়। এই নিয়ে খুব জলঘোলা হচ্ছে। তাই কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
ধারাবাহিকের নায়িকা সোলাঙ্কি রায়ও কিছু বলতে চাননি। তার কথায়, ‘ধারাবাহিকের গল্প সম্পর্কে কিছুই জানি না। শুটে আসার পরে সংলাপ হাতে পাই। এ বিষয়ে যা বলার লীনাদি বলবেন।’
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিক্রম ও সনিকাকে নিয়ে তৈরি হওয়া দু’টি গ্রুপ পারস্পরিক আক্রমণের তীব্রতা আরো বাড়িয়েছে। ‘ভয়েস ফর বিক্রম’ আক্রমণ করছে অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে। ঠিক যেমন ‘জাস্টিস ফর সনিকা’ গ্রুপে হেনস্থা করা হচ্ছে সোলাঙ্কি রায়কে। এ বিষয়ে অনিন্দ্য কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি। সোলাঙ্কি বলেছেন, ‘যারা ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন, তাদের রুচি বোঝা যাচ্ছে। ওদের নিয়ে মন্তব্য করছি না।’
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন