বনানীর ‘ধর্ষক’ সাফাত ৬, সাদমান ৫ দিনের রিমান্ডে
রাজধানীর বনানীতে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার সাফাত আহমেদের ৬ ও সাদমান সাকিফের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার তাদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলা তদন্তকারী অফিসার পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি।শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলাম ওই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বেলা ২টা ৪০ মিনিটে তাদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) উপ-কমিশনার (ডিসি) ফরিদা ইয়াসমিন শুক্রবার সকালে বলেন, গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত ধর্ষককে সিলেট থেকে ঢাকায় আনা হয় রাতে। ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের তত্ত্বাবধানে তাদের দুজনকে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাবাসাদ করা হয় তাদের।
প্রসঙ্গত, বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের প্রধান আসামি সাফাত আহমেদ ও আরেক আসামি সাদমান সাকিফকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিলেটে গ্রেফতার করা হয়। সাফাত ও সাদমান সিলেটে আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন।
সাফাত (২৬) আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে এবং সাদমান (২৪) পিকাসো রেস্তোরাঁর অন্যতম মালিক ও রেগনাম গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বন্ধুর সঙ্গে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন দুই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণী। ওই ঘটনায় গত ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় অভিযুক্ত সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ ও সাদমান সাকিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তারা। মামলার পর থেকেই পলাতক ছিলেন আসামিরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন