নওগাঁয় ব্যাপক শিলা বর্ষণ, প্রায় ৫ হাজার ঘড়-বাড়ির ক্ষতি! আহত-২
নওগাঁর রাণীনগরে আর্কষিক শিলা-বৃষ্টিতে এলাকার হাজার হাজার বাড়ী-ঘড়ের টিন ঝাঁঝড়া হয়ে ব্যপক ক্ষতি হয়েছে । এতে উঠতি আবাদের ধান ও থাকার জায়গা নিয়ে চরম বিপাকে পরেছেন লোকজন । এছাড়া গাছপালা ও আম ও লিচুর চরম ক্ষতি হয়েছে । শিলাতে ওই এলাকার হেলাল উদ্দীন (৪২) ও আলেপ উদ্দীন(৫৫) নামের দু’জন আহত হয়েছে ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ করেই উত্তর-পশ্চিম আকাশে কালো মেঘ দেখা দেয় । এর কিছুক্ষন পরই ঝড় বাতাস ও হালকা বৃষ্টি পরতে থাকে। এরই মধ্যে শুরু হয় ব্যাপক শিলা বর্ষন । টিনও সিমেন্টের চালা এবং টালির ঘড় নিমিশের মধ্যে ঝাঁঝড়া হয়ে যায় । এতে বৃষ্টির সমস্ত পানি বসত বাড়ীর ঘড়ের মধ্যে প্রবেশ করতে থাকে । এছাড়া বাড়ীর তালার উপর তুলে রাখা আবাদী ধান ভিজে একাকার হয়ে যায় ।
পারইল ইউপির বিল পালশা,বোদলা,কৃষ্ণপুর,নিমগাছী,সরকাটিয়া, ডুবাগাড়ী তেবারিয়া, কালীগ্রাম ইউপির করজগ্রাম, মাধাইমুড়ি কালীগ্রাম,রঞ্জনিয়া ও আধখলাসহ বিভিন্ন এলাকায় এই ভারী শিলা বর্ষনের ঘটনা ঘটেছে ।
কৃষ্ণপুর গ্রামের হুরমত আলী (৮০) জানান, আমার বয়সে এত বড় বড় শিলা পড়তে দেখিনি। ওই গ্রামের আসাদুল,ডিটল,আব্দুস সামাদ.আব্দুল মমিন জানান,তাদের গ্রামের অধিকাংশ টিনের চালা ঝাঁঝড়া হয়ে গেছে। মাধাইমুড়ি গ্রামের আব্দুল হালিম শিশির ও নুরল ইসলাম জানান,তাদের গ্রামের প্রায় ২০ টি ঘড়ের টিন সম্পন্ন ঝাঁঝড়া হয়ে গেছে । বোদলা গ্রামের সাইদুর রহমান মহুরি জানান, তাদের গ্রামে প্রায় ৪ শতর মতো বাড়ীঘড় ভারী শিলাতে ঝাঁঝড়া হয়ে গেছে । তবে যে শিলা পড়েছে তা প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৪শত গ্রাম করে ওজন হবে বলে জানান তিনি। তেবাড়িয়া গ্রামের আবু সাইদ মাস্টার জানান,তার গ্রামের শতাধিক ঘড় বাড়ীর টিন ঝাঁঝড়া হয়ে গেছে এবং হেলাল উদ্দীন (৪২) ও আলেপ উদ্দীন (৫৫) নামের দু’জন আহত হয়েছে ।
এব্যাপারে পারইল ইউপির চেয়ারম্যান মজিবর রহমান জানান, তার নিজের বাড়ীর টিন ঝাঁঝড়া হয়ে তালার উপর রাখা ধান ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে । গরীব মানুষরা চরম ভোগান্তিতে পরেছে । ওই এলাকায় প্রায় ৪ থেক ৫ হাজার বাড়ী ঘড়ের টিন ঝাঁঝড়া হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি ।
রাণীনগর উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মেহেদি হাসান জানান,বিগত সময়ে এতো বড় বড় শিলা বর্ষনের ঘটনা দেখিনি এটি নজির বিহীন। তবে হালকা টিন দিয়ে নির্মিত বাড়ীর ক্ষতিটাই বেশি হয়েছে বলে জানান তিনি ।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া বিনতে তাবিব জানান,ক্ষতিগ্রস্থ্যএলাকায় তালিকা করার জন্য উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা এবং স্থানীয় মেম্বার /চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে ,তারা তালিকা তৈরির কাজ শুরু করবেন ।এছাড়া ক্ষতির বিষয়টি আমরা সংশ্লিষ্ঠ উর্দ্ধতন কর্মর্কতাদের জানিয়েছি ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন