ছোট শিশুদের যে ১০ খাবার দেবেন না
পুষ্টিকর খাবার হলেই যে তা খুব ছোট শিশুদের খাওয়ার উপযুক্ত হবে, এমন কোনো কথা নেই। বহু খাবার আছে যা বড়দের উপযুক্ত হলেও এক বছরের নিচের শিশুদের উপযুক্ত নয়। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু খাবারের কথা।
১. কমলা, লেবু, জাম্বুরা
শিশুদের যেকোনো ফল খাওয়ানোর কথা বলা হলেও সব ফল উপকারী নয়। বিশেষ করে স্ট্রবেরি ও বেরি-জাতীয় ফলে এমন ধরনের প্রোটিন রয়েছে যা শিশুদেহের পক্ষে হজম করা কঠিন। কমলা বা জাম্বুরার মতো সাইট্রাস ফলও পাকস্থলীতে সমস্যা করে। অন্তত এক বছর বয়সের আগে এগুলো খেতে দেওয়া উচিত নয়।
২. সুস্বাদু খাবার
প্যাকেট করা দারুণ ফ্লেভার এবং স্বাদের খাবার শিশুকে খাওয়ানো হয়। বাবা-মায়েরা মনে করেন, দেখতে সুন্দর খাবারগুলো নিশ্চয়ই পুষ্টিকর। এক গবেষণায় বলা হয়, উজ্জ্বল বর্ণ এবং নানা ফ্লেভারে পূর্ণ খাবার গর্ভাবস্থায় শিশুর বেড়ে ওঠায় বাধা সৃষ্টি করে। কাজেই শিশুর দেহে তা মোটেও ভালো কিছু দিতে পারে না।
৩. দুধ
জন্মের প্রথম বছর পর্যন্ত শিশুদের জন্য মায়ের বুকের দুধ ছাড়া আর কোনো দুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই। দুধে এমন খনিজ থাকে যা শিশুদের কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই এক বছর পেরিয়ে গেলেও গরুর দুধ শিশুদের খাওয়ানোর ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে হবে। শিশু একটু বড় হলে তখন ধীরে ধীরে গরুর দুধ খাওয়ানো শুরু করতে হবে।
৪. ডিমের সাদা অংশ
যদিও ডিমের সাদা অংশের পুষ্টিগুণ বলে শেষ করা যাবে না। তবু চিকিৎসকরা শিশু স্বাস্থ্যে একে হুমকি বলেই মনে করেন। এক বছর বয়সী শিশুদের জন্য ডিমের কুসুম ঠিক আছে, কিন্তু সাদা অংশ আরও কিছুদিন পর থেকে খাওয়াতে হবে।
৫. শক্ত ও গোলাকার খাবার
প্রাকৃতিক খাবার বা হাতে বানানো যাই হোক না কেন, শক্ত ও গোলাকার কোনো খাবারই শিশুদের জন্য ভালো নয়। আমলকি, বাদাম, ভুট্টা ইত্যাদি এ তালিকায় রয়েছে।
৬. মধু
প্রকৃতির এক বিস্ময় খাবার হলেও বাচ্চাদের জন্য ভালো নয় এটি। শিশুদেহে তা বিষাক্ত উপাদান হিসেবে প্রতিক্রিয়াশীল হয়।
৭. ফলের রস
ফলের রসের চেয়ে ফল খাওয়া বেশি উপকারী। শিশুদের ক্ষেত্রে ঘটনাটি বেশি সত্য। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফলের রস যে এসিড উৎপন্ন করে তা শিশুদেহে মারাত্মক ক্ষতি করে।
৮. কাঁচা ও আধা রান্না করা খাবার
কাঁচা যেকোনো খাবারই বাচ্চাদের জন্য অপকারী। এ ছাড়া পুরোপুরি রান্না হয়নি, এমন খাবারও তাদের মুখে তোলা যাবে না। এতে তাদের বিপাকক্রিয়ায় ব্যাপক ঝামেলা লেগে যায়।
৯. প্রক্রিয়াজাত হোয়াইট সিরিয়াল
প্রক্রিয়াজাত সাদা রাইস ফ্লাওয়ার সিরিয়াল শিশুদের বেশি বেশি খাওয়ানো হয়। অথচ এটা এমন গ্লুকোজ উৎপন্ন করে, যা শিশুদেহ গ্রহণ করতে চায় না। উচ্চমাত্রার গ্লুকোজ তাদের দেহে ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
১০. আঠালো খাবার
শক্ত ও গোলাকার খাবারের মতো আঠালো খাদ্যও শিশুদেহে মানানসই নয়। পিনাট বাটার বা আঠালো চকোলেট এড়িয়ে যান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন