‘মাসে অন্তত একবার ঘুরতে যাব যে কারণে’
যারা ভ্রমণপিয়াসী তাদের কাছে এর প্রয়োজন ও সুফল নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু রক্তে ঘোরার নেশা নিয়েও যারা শুরু করতে পারছেন না, তাদের জন্যে কলম ধরেছেন এক পর্যটক আয়ান্দ্রালি দত্ত। ভারতের এই কন্যার ভ্রমণের দারুণ শখ। তিনি ঠিক করেছেন, প্রতিমাসেই একবার করে কোথাও না কোথাও ঘুরে আসবেন তিনি। এখানে আয়ান্দ্রালি কী বলতে চাইছেন তা দেখে নিন।
তিনি লিখেছেন, যদি মনে করেন যে আচার-ব্যবহারের পেছনে আপনার জেনেটিক অবস্থা দায়ী, তবে দ্বিতীয়বার চিন্তার সময় এসেছে। এ কথা আমিও ভাবতাম কিছু দিন আগেও। কিন্তু যখন আমার সত্যিকার পছন্দ, ভালোবাসা আর ভালোলাগা খুঁজে পেলাম তখন সবই বদলে গেলো। আমি বুঝলাম, মানুষের জীবনের সবচেয়ে অর্থপূর্ণ দিকটি ফুটিয়ে তোলে ভ্রমণ। এই উপলব্ধি একবার আসলে আর পিছে ফিরে দেখার প্রয়োজন হয় না।
বছর দুয়েক আগে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, প্রতিমাসে একবার করে ভ্রমণে যাবো আমি। সময় বা সুযোগ না থাকার বিষয়টি কংক্রিট হয়ে রয়েছে আমাদের জীবনে। এটা সাহস করে ভেঙেছিলাম। আর ওটা ভাঙার পর পরই স্রোতের মতো আমাকে ভাসিয়ে নেয় আনন্দ আর ভালোলাগা।
আসলে প্রতিটা উপলব্ধি আচমকা ধরা দেয় মনে। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। একদিন আমার মনে হলো, এই পৃথিবীটা কত বড়! এর কিছুই তো আমি দেখিনি। এমনকি আমার আশপাশের কতকিছুই এখনো অজানা আমার। পৃথিবীটাকে যত দেখবো ততই সঙ্কীর্ণতা দূর হবে আমার। বুড়ো হলেও তো নাতী-নাতনীদের বলতে পারবো অভিজ্ঞতার কথা।
তবে জীবন কিছুটা এলোমেলো হয়ে যায়। তাই বলে গোছানো জীবন যে নষ্ট হয় তা কিন্তু নয়। গত ২৪ মাসে আমি ২৬টি নতুন নতুন স্থান ঘুরেছি। যে পরিবর্তন আসে তা নগন্য। ভয়ের কিছু নেই। শুধু একটা অন্তিম চাওয়া মনে মধ্য কাজ করবে- আবার কবে বেরোতে পারবো এই যান্ত্রিক জীবন থেকে? ক্রমেই আপনার চারদিক থেকে যত মানসিক বাধা সরে যাবে। এক অদ্ভুত শান্তি বিরাজ করবে চারদিকে।
প্রতিবারই আমি যখন বাইরে থেকে ঘুরে আসি, আমি জীবনের নতুন কিছু খুঁজে পাই। আপনিও পাবেন। প্রতিনিয়ত ভ্রমণ আপনাকে জীবনের নতুন অর্থ দেবে। মনে হবে, এর অপেক্ষাতেই হয়তো ছিলেন এতদিন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন