খাবার চুরির অপরাধে দুই নাবালককে নগ্ন করে জুতার মালা!

দোষ বলতে মিষ্টির দোকান থেকে খাবার চুরি। আর সে কারণেই মাত্র ৯ ও ৮ বছরের দুই নাবালককে নগ্ন করা হলো। শুধু তাই নয়, এই ‘অল্প’ দোষেই তাদের গলায় পরানো হলো জুতোর মালা।

গত শনিবার ভারতের মহারাষ্ট্রের থানে জেলার ঘটনা। দুই নাবালকের একজনের মায়ের অভিযোগ পেয়ে উল্লাসনগর টাউনশিপের প্রেমনগর এলাকা থেকে মেহমুদ পাঠান নামে ওই দোকানদার ও তাঁর দুই ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার বিশেষ আদালত ওই তিনজনকে সোমবার পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে।

জানা গিয়েছে, ওই দুই বালক একই পরিবারের সদস্য না হলেও ঘটনার দিন একসঙ্গেই অভিযুক্ত মেহমুদের দোকানে আসে। এরপরই কারও অনুমতি না নিয়ে একটি খাবারের প্যাকেট খুলে সেটি খেয়ে ফেলে। এতেই রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে যান দোকানদার।

এরপরেই নিজের দুই ছেলে সালিম এবং ইরফানকে নিয়ে ওই দুই নাবালককে পাকড়াও করেন। ওই দু’জনকে ‘উচিত শিক্ষা’ দেওয়ার জন্য ছেলেদের নির্দেশ দেন। এরপরেই শাস্তিস্বরূপ দুই নাবালকের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। এখানেই কিন্তু থামেনি অত্যাচার। দুই নাবালককে উলঙ্গ করে গলায় জুতোর মালা পরানো হয়।

মেহমুদের এক ছেলে ইরফান এরপর বেশ কয়েকবার চড়ও মারে ওই দুজনকে। এমনকী গোটা ঘটনাটি নিজের ফোনে রেকর্ড করে রাখে সালিম। ওই সময় ঘটনাস্থলে অনেকেই উপস্থিত থাকলেও আক্রান্ত দুই নাবালককে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেননি কেউই।

অন্যদিকে, আক্রান্ত দুই শিশুর মধ্যে একজনের মা অন্যের বাড়িতে গৃহস্থালির কাজে সেরে বাড়ি ফিরেই সন্তানের এই অবস্থা দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে অপর পরিবারকে নিয়ে হিল লাইন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এরপরই মেহমুদ ও তাঁর দুই ছেলেকে আটক করে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৫৫, ৫০০ এবং ৩২৩ ধারায় মামলা রুজু করা হয়।

গোটা ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। যে ভিডিওটি সালিম রেকর্ড করেছিল, সেটি মুহূর্তে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সেটি দেখার পর অনেকেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। বিশেষ করে একটু খাবারের জন্য যেভাবে দুই নাবালকের ওপর ওই তিনজন অত্যাচার চালিয়েছে, তার জন্য কড়া শাস্তিও দাবি করেছেন অনেকে।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন