ঢাকায় মধ্যরাতে হাঁসফাঁস-ঘুমহীন

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং হানা দিচ্ছে। রাতে দিনে যেকোনো সময় বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করছে। কেড়ে নিচ্ছে দিনের স্বস্তি, রাতের ঘুম। নগরীবাসীর এখন অনেকটা হাঁসফাঁস অবস্থা।

মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরের দিকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং দেখা যায়। দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎহীন অবস্থার মধ্য দিয়ে কেটে যায় নগরবাসীর।

একে তো গ্রীষ্মের ছে উত্তপ্ত। প্রচণ্ড গরমে নগরবাসীর জীবনও ক্রমশই অসহনীয় হয়ে উঠছে। এর মধ্যে নতুন করে দুর্ভোগ হয়ে আসা লোডশেডিং অতিষ্ট করে তুলছে।

সূত্রমতে, দুপুরের দিকে রাজধানীর শাহবাগ ও এলিফেন্টরোডসহ আশপাশ এলাকা লোডশেডিং এর কবলে পড়ে। দীর্ঘসময় ধরে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় থাকতে হয়। তবে শুধু দিনেই নয়, রাতেও লোডশেডিং জীবনকে করে তোলে অসহনীয়।

মঙ্গলবার দিনগত রাত প্রায় ১টা থেকে রাজধানীর বাড্ডা ও আশপাশ এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলতে থাকে এ অবস্থা। গোটা এলাকা ভূতুরে অবস্থার মধ্যে পড়ে যায়।

রাতে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, রাত একটার পর থেকে বাড্ডা এলাকা বিদুৎহীন হয়ে পড়ে। গোটা এলাকায় নেমে আসে অন্ধকার। এ সময় অস্বস্তি চরমে পৌঁছায়। অনেকের ঘুম ভেঙে যায়। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা দেখা যায়।

সূত্রমতে, রাজধানীতের চাহিদার তুলনায় ৫০০ মেঘাওয়াট কম বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে বিভিন্ন এলাকায় অনিবার্যভাবে লোডশেডিং এর আওতায় চলে এসেছে। রাতে দিনে নগরবাসীকে এ লোডশেডিং মোকাবেলা করতে হচ্ছে।

তবে বিদ্যুতের চলমান সমস্যা আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে সমাধানের তাগিদ দেয়া হয়েছে। সমস্যা নিরসনে জনপ্রতিনিধি এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সম্মিলিতভাবে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের সুপারিশ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে কমিটির ৩১তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়েছে।