কানাডার আদালত বললেই বিএনপি সন্ত্রাসী প্রমাণ হয় না : রিজভী

কানাডার কোনো আদালত রায় দিলেই বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে প্রমাণিত হয়ে যায় না বলে মন্তব্য করেছেন দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এই রায় যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া মেনে হয়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি।

বুধবার দলীয় কার্যালয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে কানাডা আদালতে বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দেয়া সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে রিজভী এ কথা বলেন।

কানাডা থেকে প্রকাশিত বাংলা পত্রিকা নতুন দেশের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুবদল থেকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হওয়া এক নেতা ২০১৪ সালে কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত আছে, সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত ছিল, সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত হতে পারে- এটা বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ আছে এই যুক্তি দেখিয়ে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা তাকে ঢুকতে দেননি।

ইমিগ্রেশন কর্মকর্তার এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন ওই বিএনপি নেতা। আর এই আপিলের রায় প্রকাশ হয় গত ১২ মে। ফেডারেল কোর্টের বিচারক জে ফদারগিল আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে রিভিউ আবেদনের নিষ্পত্তি করেন। তিনি বলেন, ‘ইমিগ্রেশন ডিভিশনের পর্যালোচনায় আমি কোনো ভুল খুঁজে পাইনি।’

এর আগে বিএনপির সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের একজন কর্মীর রাজনৈতিক আশ্রয় সংক্রান্ত জুডিশিয়াল রিভিউর আবেদনে ফেডারেল কোর্টের বিচারক জাস্টিস ব্রাউন বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। তখনও দেশে এই বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল।

কানাডার আদালতে পর পর দুটি মামলায় বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ আখ্যা দেয়ার বিষয়ে রিজভীর সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন রাখেন সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, ‘একটি দেশের আদালত কিছু বলে দিলে তাতে সবকিছু প্রমাণ হয়ে যায় না। আর একজন ব্যক্তির বক্তব্যের ভিত্তিতে ‍চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা যায় না।’

রিজভ বলেন, ‘আমার মনে হয় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা দুই এক মাস পর পর দেশে গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যা হচ্ছে বলে জানাচ্ছে। সেগুলোকে বড় গ্রাহ্যের মধ্যে আনা উচিত।’

কানাডার আদালতের রায়ের বিষয়ে বিস্তারিত জেনে পরে আরও বলতে পারব- এমন মন্তব্য করেও রিজভী বলেন, ‘তবে এটা যথার্থ যে কানাডার আদালতের রায় যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া মেনে হয়নি।’