উত্তাল সাগর : ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর থেকে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাবে উত্তাল রয়েছে বঙ্গোপসাগর। স্বাভাবিকের চেয়ে উচ্চতায় উঠে গেছে বঙ্গোপসাগরের ঢেউ। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজারে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আশ্রয়কেন্দ্রে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে কক্সবাজারে নিম্নাঞ্চলের মানুষেরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সন্ধ্যার আগে উপকূলের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হলেও, রোজার কারনে ইফতারের আগে ঘর ছাড়তে চাইছেনা মানুষেরা।
মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ’মোরা’আরো সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
আবহাওয়াবিদ মো. আরিফ হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ সোমবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৮০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্ব এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থান করছিল।
এটি আরো ঘনীভূত ও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ৩০ মে সকাল নাগাদ চট্রগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরসমুহে ৭ নম্বর এবং মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ’মোরা’ এর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে আজ বিকাল থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
মোরার প্রভাবে ইতিমধ্যেই কক্সবাজার উপকূলে বৃষ্টি পড়তে শুরু করেছে। ঘূর্নিঝড়ে মোরা যতো কাছে আসছে, সাগরের ঢেউর তীব্রতা ততই বাড়ছে।
এটি সোমবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৮০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫১০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থান করছিল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন