পাহাড়ে এখনও ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস
‘কম ভাড়ায় বাধ্য হয়ে এখানে বসবাস করছি। কম ভাড়ায় ভালো কোথায় জায়গা পেলে জীবনের ঝুকি নিয়ে এখানে থাকতাম না’। এভাবেই নিজের অসহায়ত্বের কথা জানাচ্ছিলেন খাগড়াছড়ি শহরের কদমতলী এলাকার পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী রমজান আলী। শুধু তিনি নন, কলাবাগান, নেন্সিবাজার, মোল্লাপাড়া, শালবনসহ বিভিন্ন এলাকায় আরো সহস্রাধিক পরিবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের খাঁজে ও পাদদেশে বসবাস করছেন।
গত কয়েকদিনে পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেও এখনো খাগড়াছড়ির জেলা সদরে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পাহাড়ে বসবাস করছে সহস্রাধিক এসব পরিবার। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তাদের সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নেয়নি। জেলা প্রশাসক বলছেন, সরকারি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ছাড়া পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের পুনর্বাসন সম্ভব নয়।
ঘরভাড়া কম ও অন্য কোথাও থাকার জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়েই মরণ ঝুঁকি নিয়ে আতংকের মধ্যেই সেখানে বসবাস করছেন নিম্নআয়ের মানুষগুলো। পাহাড় কাটা কিংবা পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস প্রতিরোধে কঠোর আইন থাকলেও তার কোন বাস্তবায়ন নাই।
পাহাড়ের বসবাবসকারীদের পুনর্বাসনের ব্যাপারে সরকারি নীতিমালা প্রণয়ন প্রয়োজন বলে জানালেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক রাশেদুল ইসলাম।
জেলায় ছোট বড় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছে প্রায় ৫০ হাজার পরিবার। গত ১০ বছর জেলায় পাহাড় ধসে মারা গেছে ২১ জন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন