মেঝেতে রাত কাটছে মওদুদের
গুলশানের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হওয়ার পর অন্য একটি ফ্ল্যাটের মেঝেতে ঘুমাচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্টের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজে এ দাবি করেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘রাজউক গুলশানের বাড়ি থেকে মালপত্র সরানোর সময় খাট ভেঙে গেছে। সেটি এখন আমার বাসার পুরনো কাঠমিস্ত্রি শংকর মেরামত শুরু করেছে। মেরামত হলে খাটে ঘুমাতে পারব। আপাতত মেঝেতে শুয়েই রাত কাটছে আমার।’
তিনি বলেন, ‘কোনো আইনের তোয়াক্কা না করে চর দখলের মত সরকার আমার গুলশানের বাড়ি দখল করেছে। এটা সম্পূর্ণ মানবাধিকারের লঙ্ঘন।’
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘সুপ্রিমকোর্টের রায়ের কোথাও বলা হয়নি, এই বাড়ি সরকার বা রাজউকের। আমার মনে হয়, আওয়ামী লীগের নেতারা আদালতের রায় না পড়েই কথা বলছেন।’
তিনি বলেন, ‘বাড়ি থেকে উচ্ছেদ বড় কথা নয়। যেভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে তাতে আমার বহুদিনের অনেক স্মৃতি হারিয়ে গেছে। আমাকে ধণাঢ্য লোকের উপহার দেয়া এক হাজার বছরের পুরনো মিশরীয় সভ্যতার মাটির বাটি খুঁজে পাচ্ছি না।’
প্রশ্ন রেখে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমার মৃত দুই ছেলের অনেক স্মৃতি ছিল এই বাড়ির সঙ্গে। তা খুঁজে পাচ্ছি না। তাদের এসব নষ্ট করার অধিকার কে দিয়েছে?’
সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আদালতের কোনো আদেশ ছাড়া বাড়ির দখলদারকে উচ্ছেদ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে উচ্ছেদ করার সময় আদালতের কোনো নির্দেশ তাদের হাতে ছিল না। বিনা নোটিসে এবং বিনা অনুমতিতে বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশ এবং তাকে উচ্ছেদ করে সংবিধানের প্রদত্ত মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।’
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এ জে মোহাম্মদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন