খাবারে পেঁয়াজ দেওয়ায় নগ্ন হয়ে যুবরাজের প্রতিবাদ!
খাবারে পেঁয়াজ অনেকেরই অপছন্দ। হয় অ্যালার্জির কারণে, না হয় নেহাতই অভ্যাসের বশে পেঁয়াজকে খাদ্যতালিকা থেকে দূরে রাখতে ভালবাসেন তারা। এই ধরনের ব্যক্তিরা হোটেল-রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে আগেভাগেই বলে দেন পেঁয়াজ ছাড়া যেন তাঁদের খাবার প্রস্তুত করা হয়।
কিন্তু ভুলবশত যদি এক-আধ টুকরো পেঁয়াজ কখনও খাবারের চলে আসে তাতেই বিচলিত হয়ে ওঠেন অনেকেই। তবে এমন তো হতেই পারে। তার জন্য একেবারে উঠে পড়ে প্রতিবাদে সরব হবেন না নিশ্চয়ই। কিন্তু আপনি সরব না হলেও ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের ওকল্যান্ডের বাসিন্দা যুবরাজ শর্মা কিন্তু চৃড়ান্ত প্রতিবাদ করলেন।
এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, বার বার বারণ করা সত্ত্বেও যুবরাজের খাবারে পেঁয়াজ দিয়ে ফেলেছিলেন রেস্তোরাঁর রাধুনি। সেই খাবার না খেয়ে রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে রেস্তোরাঁ ছাড়েন তিনি। এর বেশ কিছুক্ষণ পরেই আবার ওই যুবক ফিরে আসেন ওই রেস্তোরাঁয়। এবার প্রায় দ্বিগুণ রাগে শাসাতে শুরু করেন রেস্তোরাঁর মালিককে। গুলি করে মালিককে খুন করে দেওয়ার হুমকিও দেন যুবরাজ। তার পর মুহূর্তেই রেস্তোরাঁ ভর্তি লোকের সামনে আচমকাই নিজের জামা-প্যান্ট খুলে দৌড়তে শুরু করেন তিনি।
ঘটনার জেরে হতভম্ভ হয়ে যান উপস্থিত সকলে। কী করা উচিত বুঝে উঠতে না পেরে রেস্তোরাঁর এক কর্মী ৯১১-তে ফোন করে পুলিশে খবর দেন। মুহূর্তের মধ্যেই পুলিশ হাজির হয় সেখানে। কিন্তু পুলিশকে দেখেও পাগলামি থামেনি যুবরাজের। শেষমেশ তাকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয় পুলিশ। তার বিরুদ্ধে খুনের হুমকি, অশ্লীল আচরণ, জনসমক্ষে উন্মত্ততা—এমন বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা করা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন