অর্থমন্ত্রীকে রাশেদ খান মেননের প্রশ্ন

‘পাচারের টাকা না ফিরিয়ে, কেন মানুষের কাঁধে করের বোঝা চাপানো হচ্ছে?’

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে ভ্যাট-ট্যাক্সের মহোৎসব বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন: এনবিআরকে আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে হবে। সেখানে শুল্ক আদায় সহজ প্রতিবারই সেখানেই টার্গেট করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী এই সংসদে বলেছিলেন, এখন পর্যন্ত বিদেশে পাচার হওয়া টাকা দিয়ে বাজেট দেওয়া সম্ভব।

প্রতিবছর কেন কর বাড়ানো হচ্ছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন: তাহলে পাচারের টাকা না ফিরিয়ে, কেন মানুষের কাঁধে করের বোঝা চাপানো হচ্ছে?

আজ জাতীয় সংসদে বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে রাশেদ খান মেনন এ কথা বলেন।

আবগারি শুল্কের মতো অন্যান্য প্রতিটি ক্ষেত্রে শুল্ক না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন চট্টগ্রাম ৮ আসনের সাংসদ ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

তিনি যুক্তি তুলে ধরে বলেন: ২০০৮ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত বাজেটের আকার ৫ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু কর দাতার সংখ্যা সেভাবে বৃদ্ধি পায়নি। ২০০৮ সালে কর দাতার সংখ্যা ছিলো ৮ লক্ষ এখন সেটা ১৬ লক্ষ।

সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা না বাড়িয়ে অর্থমন্ত্রীকে কর দাতা বৃদ্ধি করে সমাধান খোঁজার পরামর্শ দেন তিনি।

ব্যাংক আমানতের ওপর আবাগারি শুল্ক বৃদ্ধির যে প্রস্তাব রয়েছে এবারের বাজেট প্রস্তাবনায় অংশ নিয়ে তার সমালোচনা করে মেনন বলেন: আপনি(অর্থমন্ত্রী) খেলাপি ছাড় দিচ্ছেন। আর যারা সারা জীবন চাকুরি শেষে পেনশনের টাকা ব্যাংকে রাখছে তাদের ওপর কর বসাচ্ছেন! আপনি বলেছেন আবগারি শুল্কের নাম পরিবর্তন করে দিবেন। তাতে কি লাভ হবে।

সাধারণ জনগন আর ব্যাংকে টাকা রাখতে চাইবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এর ফরে আমানতের টাকা শেয়ার বাজারে (ফটকা বাজার উল্লেখ করেন) গিয়ে সাধারণ মানুষ সর্বশান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

হাছান মাহমুদও আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার করে পূর্বের ব্যাবস্থা চালু রাখার আহ্বান জানান।

এছাড়া, মেডিটেশনের ওপর অর্থমন্ত্রী যে কর আরোপের প্রস্তাব রেখেছে, সেটাও প্রত্যাহারের প্রস্তাব জানান সরকারের এ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী। ব্যাখ্যায় তিনি, মদক থেকে সাধারণ জীবনে ফিরতে মেডিটেশনের গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।