ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির নতুন বাড়ি

ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রণব মুখার্জির মেয়াদ প্রায় শেষ পর্যায়ে। দীর্ঘ পাঁচ বছর রাষ্ট্রপতি পদে থেকে আগামী ২৫ জুলাই অবসর নেবেন তিনি। এরপর তাঁকে ছেড়ে দিতে হবে দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবন। কিন্তু এই প্রাসাদ ছেড়ে যাবেন কোথায় রাষ্ট্রপতি? অবসরের পর সাবেক রাষ্ট্রপতি ভারতের যেকোনো পছন্দের জায়গায় থাকতে পারেন। তাঁর যাবতীয় খরচ বহন করে কেন্দ্রীয় সরকার। এ কারণেই দিল্লির ১০ রাজাজি মার্গের সরকারি বাংলোয় অবসরজীবন কাটানোর জন্য মনস্থির করেছেন তিনি।

আগামী ১৭ জুলাই ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে। ভারতের শাসক দল রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করেছেন দলিত নেতা ও বিহারের সাবেক রাজ্যপাল রামনাথ কোবিন্দকে; যদিও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কংগ্রেস দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির নাম সুপারিশ করেছিল। ২০১২ সালের ২৫ জুলাই প্রণব মুখার্জি দেশটির ১৩তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ৮১ বছর বয়সী এই রাষ্ট্রপতি অবসরের পর দিল্লির ১০ রাজাজি মার্গের সরকারি বাংলোয় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম অবসরের পর এই বাড়িতেই বাকি জীবন কাটিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর পর কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী মহেশ শর্মা এই বাড়িতে ওঠেন। এখন কেন্দ্রীয় সরকার বাড়িটি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্য বরাদ্দ করায় তথ্যমন্ত্রী মহেশ শর্মা ১০ আকবর রোডের আরেকটি বাংলোয় চলে গেছেন।

ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ১১ হাজার ৭৬৭ বর্গফুটের রাজাজি মার্গের বাড়িটি দোতলা। বাড়িটিতে রয়েছে সুপ্রশস্থ বাগান ও লন। ভেতরে একটি বড় গ্রন্থাগার ও পাশেই একটি বড় পড়ার ঘর। প্রণব মুখার্জি বই পড়তে ভালোবাসেন বলেই তাঁর জন্য এই বাড়িটি ঠিক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এখন বাড়িটি সাজানোর কাজ চলছে। সামনের ফাঁকা জায়গায় তৈরি করা হচ্ছে ফুল ও ফলের বাগান। দোতলা বাড়িতে বসানো হচ্ছে লিফট।

এর আগে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির জন্য ৩৪ নম্বর এ পি জে আবদুল কালাম রোডের বাড়িটি ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু প্রয়াত সাংসদ পি এ সাংমার নামে বাড়িটি বরাদ্দ থাকায় নতুন করে রাজাজি মার্গের বাংলোটি ঠিক করে সরকার।

প্রেসিডেন্ট পেনশন রুলস-১৯৬২ অনুযায়ী, সাবেক রাষ্ট্রপতি আজীবন দেশের যেকোনো জায়গায় থাকার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তাঁকে কোনো বাড়িভাড়া দিতে হয় না। বিনা মূল্যে তিনি পান পানি, বিদ্যুৎ, গাড়ি ও গাড়ির চালক। তাঁর দপ্তরে কাজ করার জন্য একজন সচিব, একজন সহকারী ও চিকিৎসক থাকেন। এ ছাড়া আরও তিনজন কর্মী তিনি রাখতে পারেন। তাঁর সব খরচ বহন করে ভারত সরকার। এ ছাড়া তিনি নিয়মিত পেনশনের অর্থও পাবেন।