যে কারণে ধোনি ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক
অধিনায়ক শব্দটির সঙ্গে জড়িয়ে থাকে অনেক দায়িত্ব আর অজস্র প্রতাশ্যার চাপ। প্রতিপদে নেতৃত্বের পরীক্ষা দিয়ে বিশ্ব দরবারে উত্তীর্ণ হতে হয় নেতাকে। কিন্তু ‘নেতা’র তকমা গায়ে চাপিয়ে সবেতেই সফল হওয়া এ ধরণীতে বিরল। আর সেই বিরলতমদের একজন মহেন্দ্র সিং ধোনি। বিশ্ব মঞ্চ থেকে ভারতীয় ক্রিকেটকে তিনি যে সম্মান এনে দিয়েছেন, তাতে তাকে আজও কুর্নিশ জানায় সকল ভারতীয় জনতা।
ক্রিকেটের জন্মভূমি ইংল্যান্ড থেকে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দেশ অস্ট্রেলিয়া, কোনও দলের অধিনায়ক যা করে দেখাতে পারেননি, এই ভারতীয় তা পেরেছিলেন। বিশ্বের প্রথম এবং একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে অনন্য নজির গড়েছিলেন তিনি। ২০১৩ সালের ২৪ জুন অর্থাৎ আজকের দিনেই ক্রিকেটমহলকে চমকে দিয়েছিলেন ধোনি। চার বছর আগে এদিনই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেশকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এনে দিয়েছিলেন। আর সেই সঙ্গে আইসিসি-র তিনটি ট্রফি জয়ের বৃত্ত সম্পূর্ণ করেছিলেন ভারতের এই সাবেক অধিনায়ক।
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১১ সালে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের একমাত্র মালিক নেতা ধোনি। যে কৃতিত্ব তার থেকে কেউ কোনওদিন কেড়ে নিতে পারবে না। সেই ধোনির নেতৃত্ব নিয়েও একসময় উঠেছিল প্রশ্ন। যে সমালোচনা এড়াতে নিজেই সবরকম ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি যে এতটুকু ফুরিয়ে যাননি, তার উদাহরণ একাধিকবার দেখা গেছে।
চলতি বছর আইপিএল-এও তার থেকে নেতৃত্বের ব্যাটন কেড়ে স্মিথের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানেও তার পরামর্শ কতটা কাজে দিয়েছিল, তা শুধু স্মিথ নন, দেখেছিল গোটা দুনিয়া। চেন্নাইকে দুবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করা ধোনিকে তাই বিশেষজ্ঞরা সেরার আসনেই বসান। দেশের জার্সি গায়েও ঘটেনি ব্যতিক্রম। খাতায়-কলমে না থাকলেও ছায়ার মতো দল পরিচালনার অনেকটা দায়িত্ব পালন করে চলেন এখনও। তাই তো আজও কোহলি রিভিউর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ধোনির পরামর্শই নেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন