কীভাবে এলো স্যানিটারি ন্যাপকিন?
তখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কবলে পড়েছে ফ্রান্স। যুদ্ধে আহত সৈনিকদের শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তস্রাব নিয়ে খুব বিব্রত হতে হচ্ছিল সৈনিকদের সেবায় নিযুক্ত নার্সদের।
সেই সময়ে বেন ফ্রাঙ্কলিন ডিজপোজেবল (অর্থাৎ যা একবার ব্যবহারের পরেই ফেলে দেয়া যায়) ন্যাপকিন তৈরি করেন। ন্যাপকিনগুলো তৈরি হতো এমন জিনিস দিয়ে যেগুলি যুদ্ধের সময়ে ছিল সহজলভ্য এবং সস্তা। ন্যাপকিনগুলির রক্তশোষণ ক্ষমতা ছিল দুর্দান্ত। আহত সৈনিকরা অত্যন্ত উপকৃত হন ফ্র্যাঙ্কলিনের এই আবিষ্কারে।
সৈনিকদের জন্য ব্যবহৃত এই ন্যাপকিন যে ঋতুস্রাবের সময়েও ব্যবহার করা যেতে পারে তা প্রথম উপলব্ধি করেন ফ্রান্সে কর্মরত আমেরিকান নার্সরা। এর আগে ডিজপোজেবল ন্যাপকিন ব্যবহারের রীতি নারীদের মধ্যে প্রচলিত ছিল না। তারা সাধারণত একই কাপড়ের টুকরোকে বারবার ধুয়ে ব্যবহার করতেন ঋতু্স্রাবের সময়ে।
আমেরিকান নার্সদের ব্যবহৃত এই ডিজপোজেবল ন্যাপকিনের ব্যবসায়িক দিকটি আঁচ করতে বেশি সময় লাগেনি বিভিন্ন ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর। তারা খুব শিগগিরই তুলো দিয়ে তৈরি স্যানিটারি প্যাড বাজারে বিক্রি শুরু করে দেন। সেই প্যাডই নানা বিবর্তনের মধ্য দিয়ে আধুনিক স্যানিটারি ন্যাপকিনের চেহারা পেয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন