মামলার আগে স্ত্রীকে ঘরে ফিরিয়ে এনেছেন ক্রিকেটার শহীদ
রুবেল হোসেন, শাহাদত হোসেন রাজীব, আরাফাত সানির পর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে নাম জড়াল জাতীয় দলের আরও একজন ক্রিকেটারের! তিনি পেসার মোহাম্মদ শহীদ। স্ত্রীকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দিয়ে খবরের শিরোনামে তিনি। এই ঘটনা মিডিয়ায় প্রকাশ করার পাশাপাশি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন শহীদের স্ত্রী ফারজানা। বেঁধে দেওয়া ৭ দিনের ডেডলাইনের মধ্যেই অবশেষে স্ত্রীকে ঘরে তুললেন শহীদ।
ফারজানা আক্তারের ভাষ্যমতে, জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর তার ওপর নির্যাতন চালানো শুরু করেন শহীদ। এর আগে এমনটা ছিল না। এই দম্পতির ছেলে আরাফের বয়স ৩ বছর। আর মেয়ের বয়স ১১ মাস। নির্যাতনের পেছনে এই কন্যা সন্তান জন্ম হওয়াটাও বড় কারণ ছিল। কন্যা সন্তান জন্মের জন্য পুরুষ দায়ী- এটা সবাই জানলেও শহীদ হয়তো জানেন না। এসব অভিযোগ সংবাদমাধ্যমের কাছে অস্বীকার করে শহীদ বলেছিলেন, তার ‘সুনাম ক্ষুণ্ন’ করার জন্যই এসব মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে বিষয়টি বেশ কিছু মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পর টনক নড়ে শহীদের। জানা গেছে, গত ২৯ জুন বৃহস্পতিবার স্ত্রী ফারজানাকে আবারও নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের কাছে শহীদ বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল তা এখন আর নেই। আমি আমার স্ত্রীকে বাসায় ফিরিয়ে এনেছি। আমার পরিবারের বড়রা গিয়ে আমার মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে এসেছে। যা হবার হয়ে গেছে। এখন আমি খেলাতেই মন দিতে চাই। ‘
এদিকে একের পর এক কেলেঙ্কারির ঘটনায় বিব্রত হয়ে পড়েছে বিসিবি। ক্রিকেটারদের পাশাপাশি গত মাসে দিনাজপুরে বিসিবির কোচ আব্দুস সামাদ মিঠুর বিরুদ্ধে এক নারী ক্রিকেটারকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ ওঠে। প্র্যাকটিসের সময় আহত হওয়া সেই নারী ক্রিকেটারকে শুশ্রুষার নাম করে যৌন নির্যাতন করেন মিঠু। একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এ সকল বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে নিয়েছে বিসিবি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন