ভোটে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনা থাকবে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সময়ে সেনাবাহিনী যেভাবে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে, আগামী নির্বাচনেও সেভাবে করবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, এর ব্যবস্থা করবে নির্বাচন কমিশন।
রোববার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। পবিত্র ঈদুল ফিতর–পরবর্তী পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অন্তত এক সপ্তাহ আগে সেনাবাহিনী মোতায়েনের জন্য খালেদা জিয়া গতকাল শনিবার দাবি জানান। এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বেগম জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন, বিএনপি যখন নির্বাচন দিয়েছিল, যেভাবে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছিলেন, স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ঠিক একইভাবে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। যেটা করবে নির্বাচন কমিশন। যেখানে প্রয়োজন, সেখানে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। এটা তো সংবিধানেও আছে। বেগম জিয়া তার বাইরে কিছু করেননি। উনি সাত দিন নয়, এক দিন আগেও সেনাবাহিনী দেননি। যেটা নিজে প্র্যাকটিস করেননি, সেটা করতে অন্যদের কেন উপদেশ দিচ্ছেন?’
সুইস ব্যাংকে টাকা জমা নিয়ে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল বলেন, তারেক-কোকোর কেচ্ছা–কাহিনি বাংলাদেশের সবাই জানেন। দেশের আদালতে নয়, বিদেশের আদালতেও এটি প্রমাণিত বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি সিঙ্গাপুরে, যুক্তরাষ্ট্রে, এফবিআইয়ের সাক্ষ্য থেকেও প্রমাণিত। আমাদের কোনো প্রমাণ নেই।’
অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এবারের ঈদযাত্রা গত পাঁচ বছরের মধ্যে স্বস্তিদায়ক ছিল। তিনি বলেন, তাঁরা ১০০ ভাগ সফল সেটা দাবি করবেন না। তবে ৮০ ভাগ সফল হয়েছেন। ২০ ভাগ ব্যর্থতা আছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন