যে কারণে হঠাৎ সমালোচকদেরও স্যালুট জানালেন হিরো আলম
বগুড়ার এরুলিয়া গ্রামের ছেলে আশরাফুল হোসেন আলম। অর্থাভাবে আলমের বাবা-মা গ্রামের অন্য এক পরিবারের হাতে ছেলেকে লালন-পালনের দায়িত্ব তুলে দিতে বাধ্য হন। আলমের পালকপিতা আব্দুর রজ্জাকের অর্থনৈতিক অবস্থাও খুব ভালো ছিল না। অর্থের অভাবেই লেখাপড়া খুব বেশি করতে পারেননি। জীবিকা নির্বাহের তাগিদে সিনেমা, গানের সিডির ব্যবসা শুরু করেন আলম।
তখনই থেকেই মডেল ও অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন তার। তখন হাতে পয়সা ছিল না। কিন্তু পরে আর্থিক স্বচ্ছলতা আসার পরে নিজেই পয়সা খরচ করে ভিডিও তৈরি করে ফেসবুক আর ইউটিউবে ছড়িয়ে দেওয়া শুরু করেন। আস্তে আস্তে আসে পরিচিতিও। হিরো আলমের ইউটিউব চ্যানেলের মোট ভিউয়ার ৪২ লাখের বেশি। ফেসবুকে হাজারো অনুসারী তার।
ইতোমধ্যে এই তারকাকে নিয়ে নিয়ে একটি শর্ট ফিল্মও নির্মিত হয়েছে। ‘হিরো আলম দ্য গ্যাংস্টার’ নামে শর্ট ফিল্মটি নির্মাণ করেছেন প্রয়াত সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের ছেলে নুহাশ হুমায়ূন।
কিন্তু হিরো আলমের আজকের এই অবস্থানে আসতে কম ঝামেলা পোহাতে হয়নি। অর্থকড়ি থেকে শুরু করে মানুষের ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ আর সমালোচনার চাপ সামলাতে হয়েছে তার। কেউ কেউ তাকে বলেছেন পাগল, কেউ বলেছেন ফালতু। হিরো আলমের নিন্দায় মুখর হয়েছেন অনেকে।
কিন্তু সেই সমালোচক আর নিন্দুকদেরই স্যালুট জানালেন এই ভিন্ন ধারার অভিনেতা। অকপটে বললেন সব ধরনের দর্শকের কারণেই আজ তিনি হিরো আলম। তাই সকলকেই স্যালুট।
হিরো আলম আজ এসেছিলেন অর্থসূচক কার্যালয়ে। খুটিনাটি অনেক বিষয় নিয়েই কথা হয় তার সঙ্গে।
তখনই এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাকে যারা পছন্দ করেন, ভালোবাসেন তাদের জন্যই আমি আজ তারকা হয়েছি। তাদের ধন্যবাদ।
আর যারা আমার নিন্দা করেছেন, সমালোচনা করেছেন তাদের স্যালুট। কারণ তাদের নিন্দা আমার ইচ্ছা শক্তিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা সমালোচনা করেছে বলেই আমার প্রচার হয়েছে।
আলম জানিয়েছেন, তিনি নিজের কাজ নিয়ে তৃপ্ত। তার কাজ সম্পর্কে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই রকম প্রতিক্রিয়াই পান। তবে নিন্দাকে তেমন আমল দিতে রাজি নন তিনি।
তিনি বলেন, আমার মডেল হওয়ার ইচ্ছে ছিল আগে। আমি জানতাম না এসব ইচ্ছে পূরণ হয় কি না, তবে লেগে ছিলাম। আমি জানি অনেকে বলে বাজে হয়েছে আমি কান দেই না। অনেকে আবার বলে ভালোই হয়েছে। আমি গ্রামের ছেলে, মন যা চায় করি। মানুষের কথায় কান দেওয়ার ইচ্ছে নেই।
তবে সিনেমায় অভিনয় করার ইচ্ছেটা আছে পুরোপুরি। এই বছরই মুক্তি পাবে তার প্রথম সিনেমা।
তিনি জানালেন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এই সিনেমাকে ঘিরেই। শখের বশে গান করলেও সিনেমার ব্যাপারে তিনি খুবই সিরিয়াস।
আর সিনেমায় তিনি অভিয়ন করতে চান নায়ক হিসেবেই। তার ভাষায়, তিনি সব সময় হিরো হিসেবেই থাকতে চান। সে হোক নাটক, সিনেমা বা মিউজিক ভিডিও।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন