রাস্তায় অপেক্ষায় ‘তরুণী’! চকোলেট, গোলাপ নিয়ে আসতেই ঘটল এই ঘটনা

হাতে গোলাপ, চকোলেট নিয়ে হবু ‘প্রেমিকার’ সঙ্গে সদলবলে দেখা করতে এসেছিল আনন্দ। কিন্ত প্রেম নিবেদন আর করা হয়নি।

ফোনে প্রেমের প্রস্তাব। সেই প্রস্তাব পেয়ে আর আগু-পিছু ভেবে দেখেন চার বাইক চোর। কিন্তু প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে এখানে আসতেই ঘটল এই ঘটনা। আসলে যে ‘সুন্দরী’ প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তিনিই যে পুলিশ।

বাইক চুরি আর মাদক পাচার করে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের বিভিন্ন থানার পুলিশের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতীদের এই দলটি। অনেক দিন ধরে চেষ্টা করেও তাদের ধরতে না পেরে অবশেষে প্রেমের ফাঁদ পাতে পুলিশ। আর তাতেই পা দিল চারজন। আনন্দ মণ্ডল ছাড়াও বাকি তিন ধৃতের নাম শহিদ আহমেদ, আজগড় আলি এবং আকাশ লাহিড়ি।

পুলিশ সূত্রে খবর, দৃষ্কৃতী দলের চাঁই আনন্দ মণ্ডলকে ফোনে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন এক মহিলা পুলিশকর্মী। ফোনে কথাবার্তা চলার পরে তিন শাগরেদকে নিয়ে হবু ‘প্রেমিকার’ সঙ্গে দেখা করতে আসে আনন্দ। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে প্রেমিকা সেজে অপেক্ষা করছিলেন ছদ্মবেশী মহিলা কনস্টেবল। তবে পেশায় বাইক চোর, মাদক পাচারকারী হলেও প্রেমিক হিসেবেও যে তারা কম যায় না, সেই নমুনাও রেখেছে চার দুষ্কৃতী।

হাতে গোলাপ, চকোলেট নিয়ে হবু ‘প্রেমিকার’ সঙ্গে সদলবলে দেখা করতে এসেছিল আনন্দ। কিন্ত প্রেম নিবেদন আর করা হয়নি। একটু দূরেই ওত পেতে থাকা পুলিশকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গেই চারজনকে গ্রেফতার করে।-এবেলা