সবচেয়ে অলস মানুষের দেশ কোনটি?

কোন দেশের মানুষ সবচেয়ে অলস? আর কোন দেশের লোকজন কাজকর্মে চৌকস বা পারদর্শী? একদল মার্কিন বিজ্ঞানী বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সক্রিয় এবং অলস মানুষের দেশের একটি তালিকা বানিয়েছেন। এ জন্য তাঁরা মুঠোফোনের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করেছেন।

নেচার সাময়িকীতে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে বিশ্বের ৭ লাখ মানুষ কত কদম হেঁটেছে, সেই তথ্য আছে। এই বিশ্লেষণমূলক তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে আছে হংকং। দেশটির মানুষ প্রতিদিন গড়ে ৬ হাজার ৮৮০ বার পা ফেলে। তারা সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। এ তালিকায় সবার নিচে আছে ইন্দোনেশিয়া। সেখানকার মানুষের গড় পদক্ষেপ সংখ্যা ৩ হাজার ৫১৩। তারা সবচেয়ে অলস। জাপান আছে ওপরের দিকেই, দেশটির নাগরিকেরা দিনে গড়ে ৬ হাজার ১০ কদম হাঁটে বলে তথ্য রয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল সেই তুলনায় অলস মানুষের দলে পড়েছে। দেশটির মানুষ দিনে গড়ে ৪ হাজার ২৮৯ কদম হাঁটে।

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা আর্গাস অ্যাপ নামের একটি মুঠোফোন অ্যাপলিকেশন ব্যবহার করে এসব তথ্য সংগ্রহ করেছেন। এই অ্যাপ মানুষের নিত্যদিনের কার্যক্রম, খাওয়াদাওয়া, ঘুম এবং হৃদ্‌যন্ত্রের গতি পরিমাপ করে সেই তথ্য ধারণ করে।

এ গবেষণায় কয়েকটি মজার তথ্য মিলেছে। মানুষের স্থূলতার মাত্রা নির্ধারণে একটি দেশের জনগণের গড় পদক্ষেপের হিসাবের চেয়ে ‘শারীরিক সক্রিয়তার অসমতা’ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্যবধানই সবচেয়ে বেশি কর্মক্ষম এবং সবচেয়ে অলস মানুষের মানদণ্ড নির্ধারণ করে দেয়।

গবেষণায় যুক্ত বিজ্ঞানী অধ্যাপক স্কট ডেলপ বলেন, মানুষের শারীরিক সক্রিয়তা নিয়ে আগের যেকোনো গবেষণার চেয়ে এটি হাজার গুণ বড়। স্বাস্থ্য নিয়ে আগেও বড় বড় জরিপ হয়েছে। কিন্তু নতুন গবেষণায় আগের চেয়ে বেশি দেশের বেশি মানুষের তথ্য-উপাত্ত অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

শারীরিক তৎপরতায় লিঙ্গ বা জেন্ডারের ব্যাপারটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। এ ক্ষেত্রে যেসব দেশে অসমতা বেশি (যেমন সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র), সেখানে নারীরা পুরুষের তুলনায় কম সক্রিয়। আবার জাপানের মতো দেশে স্থূলতা ও অসমতার মাত্রা কম বলে সেখানে নারী ও পুরুষ প্রায় একই ধরনের শারীরিক সক্রিয়তা বজায় রাখতে পারে।