চোখে আটকে পেরেক, ন’ঘণ্টা যা করলেন বালক, তা অবিশ্বাস্য
চোখে পেরেক গেঁথে থাকা অবস্থায় আট বছরের এক বালককে নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ঘুরতে হল পরিবারকে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে একের পর এক হাসপাতাল ঘুরে শেষ পর্যন্ত রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ এন আর এস হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে পেরেক বার করা হয়। চোখে এই পেরেক আটকে, ন’ঘণ্টা যা করলেন বালক, তা সত্যি অবিশ্বাস্য।
সূত্রের খবর, করিম মোল্লা নামে ওই বালকের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের জীবনতলার কুমিরমারি গ্রামে। তার বাড়ির উঠোনের দেওয়ালে পেরেক দিয়ে একটি কুলো ঝোলানো ছিল। এদিন সকালে কুলোটি পাড়তে গিয়ে চোখে পেরেক ঢুকে যায় তার। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে।
সেখান থেকে তাকে রেফার করা হয় কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। সি টি স্ক্যান করানোর পরে করিমকে এস এস কে এমে নিয়ে যেতে বলেন চিকিত্সকেরা। এস এস কে এমে যাওয়ার পর বলা হয় বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজিতে যেতে। সেখান থেকে পাঠানো হয় রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজিতে। রেফারের পরবর্তী ঠিকানা এন আর এস হাসপাতাল।
এন আর এসে প্রথমেই অবশ্য করিমকে ভর্তি করে নেওয়া হয়নি। ছেলেকে নিয়ে রাস্তায় বসেছিলেন তার বাবা। চোখে পেরেকবিদ্ধ অবস্থায় রক্তাক্ত বালককে দেখে নিজেদের ঠিক রাখতে পারেননি হাসপাতাল চত্বরে উপস্থিত অন্য রোগীদের পরিজনেরা।
তাঁরা চিত্কার চেঁচামেচি শুরু করলে দু’জন জুনিয়র চিকিত্সক তড়িঘড়ি করিমকে ভিতরে নিয়ে যান। কিছুক্ষণের মধ্যেই অস্ত্রোপচার করে পেরেক বার করা হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, করিমের ডানচোখের দৃষ্টি হারানোর সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ।-এবেলা
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন