বিএনপি নেত্রী কি মামলার ভয়ে পালিয়ে গেলেন : ওবায়দুল কাদের
দুর্নীতি দুই মামলা রায়ের পর্যায়ে চলে আসার প্রেক্ষিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডন সফর নিয়ে সমালোচনায় মুখর সরকারি দলের নেতারা। দলের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও যোগ দিয়েছেন এই দলে। তিনি প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপি নেত্রী মামলার ভয়ে পালিয়ে গেলেন কি না।
সোমবার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। এর আগে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ সংগঠনের নেতাদের মতবিনিময় করেন তিনি।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করেন খালেদা জিয়া। ২০০৬ সালে ক্ষমতা হারানোর পর যুক্তরাজ্যে খালেদা জিয়ার এটি তৃতীয় সফর। বিএনপি চেয়ারপারসন সেখানে কত দিন অবস্থান করবেন সে কথা বিএনপি নেতারা স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না। যদিও এই সফরকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলছেন তারা। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে দলের কৌশল কী হবে সে বিষয়ে এই সফরে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।
লন্ডনে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান অবস্থান করছেন নয় বছর ধরে। চিকিৎসার জন্য প্যারোল এবং জামিনের মেয়াদ শেষেও তিনি দেশে ফেরেননি। একাধিক মামলায় আদালতে হাজিরার আদেশ এলেও তিনি তাতে গা করেননি। আর বিদেশে অবস্থানরত নেতাকেই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব থেকে করা হয় সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। খালেদা জিয়া তার সঙ্গে পরামর্শ না করে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন না বললেই চলে।
তারেক রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একজন মামলার ভয়ে বিদেশ থেকে আসে না, সে কতদিন হয়ে গেল, কত বছর হয়ে গেল তিনি আর আসেন না। আরেকজন আবার টেমসনদীর পাড়ে গেলেন। উনি যাচ্ছেন এ ব্যাপারে আমাদের কোনো আপত্তি থাকার কথা না। কিন্তু শনিবার থেকে ফেসবুকে দেখছি, টুইটারে দেখছি বিভিন্ন স্ট্যাটাস, এত বেশি সময়ের জন্য একটা বড় দলের চেয়ারপারসন বিদেশে যাচ্ছেন, এখন জনশ্রুতি হচ্ছে তিনি কি মামলার ভয়ে পালিয়ে গেলেন? তিনি কি মামলার ভয়ে ফিরে আসবেন না?’।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং আওয়ামী লীগ সরকারের শুরুর দিকে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা ছাড়াও খালেদা জিয়া দুর্নীতি ও আন্দোলনে নাশকতার একাধিক মামলার আসামি। এর মধ্যে ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় শুনানি শেষ পর্যায়ে। এই দুই মামলায় শতাধিক বার উচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মামলায় ১৫০ বার আদালতে সময় চাওয়ার পর এই সন্দেহটা ঘনীভূত হচ্ছে। জনগণ এ গুঞ্জনটার শাখা-প্রশাখা করে ফেলেছে। আমরা দেখব শেখ হাসিনার মত ওয়ান-ইলেভেনের মত সাহস করে তিনি ফিরে আসবেন কি না। মামলার ভয়ে সময় আবার বর্ধিত হবে কি না। ডেট আবারো মামলার তারিখের মত পেছাবে কি না।’
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইসির পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন। এ রোডম্যাপ নিয়ে নির্বাচন কমিশন পথ চলুক। রোডম্যাপের বাস্তবায়নের অগ্রগতি দেখে আমরা কথা বলব। তারা যা বলেছেন তা রোডম্যাপ। আমরা একটু বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াটা দেখতে চাই।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন