ট্রেনের খাবার অখাদ্য বলছে ভারতের সরকারি রিপোর্ট

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ রেল যোগযোগ ব্যবস্থা হচ্ছে ভারতের। দেশটির অধিকাংশ জনগণ চলাচলে ট্রেনকেই বেছে নেন। ট্রেন ভ্রমণ করে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যেতে দুই দিন পর্যন্ত সময় লাগে। এই সময়ে ট্রেনেই যাত্রীদের খাবার গ্রহণ করতে হয়। সেই খাবারের মান নিয়ে এতোদিন নানা বিতর্ক ও প্রশ্ন উঠেছিল যাত্রীদের পক্ষ থেকে। সর্বশেষ সরকারি এক রিপোর্ট বলছে, ট্রেনে যে খাবার দেয়া হয় তা ‘মানুষের খাওয়ার অযোগ্য’।

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে ট্রেন এবং রেল স্টেশনগুলোতে যেসব খাবার পরিবেশন করা হয় তা মানুষের খাওয়ার যোগ্য নয়। এক সরকারি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের মোট ৮০টি ট্রেন এবং ৭৪টি স্টেশনের খাবার পরীক্ষা করে দেখা গেছে, কিছু খাবার ছিল দূষিত, আর যেসব খারার প্যাকেটে ভরা বা বোতলজাত করা ছিল – তার তাদের এক্সপায়ারি ডেট – বা যে নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত তা খাবার উপযুক্ত থাকবে – তা পার হয়ে গেছে।

রিপোর্টে বলা হয়, খোলা অবস্থায় খাবার মজুত করে রাখা হয়েছে বলে দেখা গেছে – যাতে মাছি, ইঁদুর এবং তেলাপোকা আকৃষ্ট হচ্ছে। রিপোর্টটিতে নিম্নমানের খাবারের জন্য রেল কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতাকে দায়ী করা হয়। ভারতের রেল ব্যবস্থা পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম -যা প্রতিদিন ২ কোটি ৩০ লক্ষ লোক ব্যবহার করে।

কিন্তু তাদের খাবার পরিবেশনের পদ্ধতি ও মান বিভিন্ন সময় যাত্রীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে। এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে একটি নতুন নীতিমালাও ঘোষণা করে। ভারতের কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেলের তৈরি করা এ রিপোর্ট বলছে, স্টেশনে এবং ট্রেনে খাবার পরিবেশনকারী বা ক্যাটারিং ইউনিট গুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বা স্বাস্থ্যগত মান রক্ষা করা হচ্ছে না।

অডিট রিপোর্ট বলছে: পানীয়ের জন্য যে পানি ব্যবহার হচ্ছে তা বিশুদ্ধ নয়। আবর্জনার পাত্রগুলো খুলে রাখা হয়, এ গুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। রিপোর্টে বলা হয়, খাবারগুলো মাছি, পোকামাকড়, বা ধূলোবালি থেকে অরক্ষিত পড়ে থাকে। তা ছাড়া ট্রেনে ইঁদুর এবং তেলাপোকাও পাওয়া গেছে।

রিপোর্টে এ জন্য ঘন ঘন নীতিগত পরিবর্তন এবং রেল কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতাকে দায়ী করা হয়।