বাড়ি ফিরতে চায় অনুতপ্ত আইএস যোদ্ধা

জঙ্গি দল আইএসে যোগ দেওয়া জার্মান কিশোরী লিন্ডা ওয়েনজেল এখন ইরাকে বন্দী। সে অনুতপ্ত। চায় নিজের বাড়ি ও পরিবারের কাছে ফিরে যেতে।

রয়টার্সের খবরে জানা যায়, গত সপ্তাহে ইরাকের মসুল থেকে আইএসকে সহযোগিতা ও সমর্থন করার অভিযোগে পাঁচ নারীকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ১৬ বছরের লিন্ডাও ছিল।

ইরাকের কারাগারে লিন্ডাকে এখন কনস্যুলার সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। লিন্ডা জার্মানির ড্রেসডেনের কাছে পুলসনিৎজ নামে ছোট একটি শহরের বাসিন্দা।

ড্রেসডেনের জ্যেষ্ঠ সরকারি কৌঁসুলি লরেঞ্জ হাসে বলেন, লিন্ডার অবস্থান তাঁরা শনাক্ত করেছেন। তবে তিনি তার প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারেননি।

জার্মান সম্প্রচারমাধ্যম এনডিআর এবং ওয়াইডিআর স্যুডডয়েচে জাইতুং পত্রিকাকে বলেন, বাগদাদের সামরিক ভবনে তাঁরা লিন্ডার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। লিন্ডা তাদের বলেছে যে সে নিজের দেশে ফিরতে চায়।

লিন্ডা বলে, ‘আমি এখান থেকে চলে যেতে চাই। আমি যুদ্ধ ছেড়ে চলে যেতে চাই। অস্ত্র, গোলমাল, সংঘর্ষ ছেড়ে চলে যেতে চাই। আমি আমার বাড়ি ও পরিবারের কাছে ফিরে যেতে চাই।’

গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, ওই কিশোরী তাদের বলেছে, আইএসে যোগ দিয়ে সে অনুতপ্ত। সে জার্মানিতে ফিরে যেতে চায় এবং জার্মান সরকারকে সহযোগিতা করতে চায়।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, ওই কিশোরীর বাঁ ঊরুতে গুলির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার ডান হাঁটুতেও আঘাতের চিহ্ন আছে। তবে লিন্ডা জানায়, হেলিকপ্টারে হামলার সময় ওই কিশোরী আহত হয়।

গত গ্রীষ্মে পালনিৎজ এলাকায় বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছিল লিন্ডা। তার বিরুদ্ধে জঙ্গি দলের সঙ্গে যোগসাজশ এবং পরিকল্পিত হামলার পরিকল্পনার অভিযোগ ছিল। এ কারণেই পুলিশ তাকে খুঁজছিল।