মিস্টার বিনকে নিয়ে এই তথ্যগুলি জানেন কি?
তাঁর টিভি সিরিজ বারবার দেখলেও সাধ মেটে না। মিস্টার বিনকে নিয়ে পরপর সিরিজ দেখে ফেললেও মনে হয় না একঘেয়েমি। রোয়ান সেবাস্তিয়ান অ্যাটকিনসনকে নিয়ে তাঁর অনুরাগীদের আগ্রহের শেষ নেই। এত চাহিদা থাকলেও কমেডি দুনিয়ার অন্যতম জনককে সেভাবে পর্দায় দেখা যায় না। তাঁর শেষ ছবি দশ বছর আগে হয়েছিল। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন ফের বড়পর্দায় আসছেন। মিস্টার বিন তথা রোয়ান অ্যাটকিনসনকে নিয়ে এমন কিছু জানা-অজানা তথ্য রইল আপনাদের জন্য।
চার ভাইয়ের মধ্যে কনিষ্ঠ ছিলেন রোয়ান। ছোট থেকে তোতালানো ছিল তাঁর অভ্যাস। এই সমস্যাকে তিনি সম্ভাবনায় পরিনত করেন। অভিনয় জীবনে B এবং S দিয়ে কোনও শব্দের উচ্চারণ করতেন অদ্ভুতভাবে নিজস্ব ভঙ্গিতে। কোটি কোটি দর্শককে বোকাবাক্সে বুঁদ করে রাখলেও এই ব্রিটিশ অভিনেতা ১২ বছরের আগে কোনওদিন টেলিভিশন সেট চোখে দেখেননি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কুইন্স কলেজ থেকে ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স করেছিলেন। পড়াশোনার ফাঁকে তিনি মিস্টার বিনের সৃষ্টিতে অন্যতম ভূমিকা নিয়েছিলেন।
ডারহামের স্কুলে তাঁর সহপাঠী ছিলেন প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। স্কুলে পড়ার সময় পড়ুয়াদের হাসির ছবি দেখানোর জন্য একটি ফিল্ম সোসাইটিও তিনি চালাতেন। যার সুবাদে চার্লি চ্যাপলিন, লরেল অ্যান্ড হার্ডির মতো কমেডিয়ানদের নিজের অজান্তেই নকল করা শুরু করেন। অভিনয়ের প্রতি এই দুর্বলতা দেখে রোয়ানকে প্রধান শিক্ষক অভিনয়টা মন দিয়ে করতে বলেন। তবে পড়াশোনায় এতটুকু ঢিলেমি দেননি। কলেজে পড়া শেষ হলে রোয়ান বুঝে যান ইঞ্জিনিয়ারিং নয়, তিনি কমেডিতেই কেরিয়ার বানাবেন। একাধিক শো এবং ফিল্মে কাজ করতে করতে হাত পাকান।
অ্যাটকিনসনকে পরিচিতি দেয় বিবিসির কমেডি শো ‘নট দ্য নাইন ও ক্লক’। ‘ব্ল্যাক এডর’ সিরিজ তাঁকে খ্যাতির চূড়ায় তুলে দেয়। অনুষ্ঠানটি এতই জনপ্রিয় হয় যে পাঁচটি সিরিজ তৈরি হয়। টিভি এবং সিনেমার মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয় হলেও শুরুর দিকে কমেডি বই লিখে পাদপ্রদীপে আসেন।
১৯৮৩ সালে জেমস বন্ডের সিনেমা ‘নেভার সে, নেভার এগেইন’-এ তাঁকে দেখা গিয়েছিল। এটির পর তাঁর কেরিয়ারের দ্বিতীয় সিনেমা ছিল ‘বিন’। যুবরাজ চার্লস এবং উইলিয়ামের বিয়েতে আমন্ত্রণ পাওয়ার বিরল নজিরও তাঁর রয়েছে। মিস্টার বিনের প্রকৃত নাম ছিল ‘মিস্টার হোয়াইট‘। মিস্টার বিনের আগে নামটি ‘মিস্টার কলিফ্লাওয়ার’ ভাবা হয়েছিল। একবার রোয়ানের উপস্থিত বুদ্ধিতে বিমান দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচেছিল।
এই ব্রিটিশ অভিনেতার সম্পত্তির পরিমান প্রায় ১৩০ মিলিয়ন ডলার। অ্যাটকিনসনের নেশা বিভিন্ন ধরনের দামি গাড়ি কেনা এবং চড়া। তিনি ফর্মুলা ওয়ান কারে যাতায়াত করেন। দ্রুতগতির এই গাড়ির জন্য ২০১৬ সালে তিনি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন। যা নিয়ে তাঁর মৃত্যুর খবর বেশ কয়েকবার রটেছিল।
রুপোলি পর্দায় তাঁকে হাসাতে দেখা গেলেও, ব্যক্তিগত জীবনে অ্যাটকিনসন চুপচাপ স্বভাবের। প্রাপ্তবয়স্কর মোড়কে শিশুর মতো আচরণই তাঁর ইউএসপি। অভিনয়ের মতো তিনি কথা কম, কাজ বেশি নীতিতে বিশ্বাসী। চুপচাপ থেকে সাধারণের হৃদয়ে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নিয়েছেন।-সংবাদ প্রতিদিন
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন