১২ বছর ধরে অন্য এক লড়াইয়ে মিতালি

ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মিতালি রাজ দেশের জন্য লড়ছেন সে কথা সবাই জানে। তবে তাকে লড়তে হচ্ছে জমির জন্যও। লড়তে হচ্ছে তারই দেশের প্রশাসনের সঙ্গেও। এক বা দুই নয়, গত ১২ বছর ধরে তিনি একটি জমির জন্য সরকারের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন।

২০০৫ সালে নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে পরাজিত হয় ভারত। তখন ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে ছিল রাজশেখর রেড্ডির সরকার। দেশে ফেরার পর পুরস্কার হিসাবে মিতালিকে ৫ লক্ষ টাকা এবং হায়দরাবাদের কুথবুল্লাপুরে সাড়ে ৪ হাজার বর্গ ফুট জমি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন রেড্ডি। কিন্তু বার বার সরকারের দরজায় কড়া নেড়েও কোনও ফল হয়নি। তার নামে ঘোষিত জমি এখনও হাতে পাননি মিতালি।

যদিও এ বিষয়ে মিতালি বা তার পরিবারের কেউই মুখ খোলেননি। কিন্তু টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্ট বলছে, ২০০৫ সাল থেকে মিতালির বাবা দোরাই রাজ এবং মা লীলা রাজ এই নিয়েই পড়ে রয়েছেন। একাধিক বার তারা ভূমি দফতরের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। এমনকী মিতালি নিজে তার মাকে নিয়ে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী রাজশেখর রেড্ডির সঙ্গেও দেখা করতে যান। কিন্তু প্রতি বারই কোনও না কোনও কারণ শুনে ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হয় তাদের।

দীর্ঘ দিন ধরে এই টানাপড়েন চলায় তিনি নাকি এতটাই হতাশ হয়েছিলেন যে, পরিবারের লোককে শেষে ওই জমি নিয়ে মাথা ঘামাতে বারণ করেন তিনি। কারণ মিতালির মতে, প্রশাসনেরই উচিত এক জন খেলোয়াড়কে খুঁজে বার করে তাকে সম্মানিত করা, প্রাপ্য সম্মানের জন্য প্রশাসনের দরজায় কড়া নাড়া এক জন খেলোয়াড়কে মানায় না।